এটি ‘সচেতনতা’ দিয়ে শুরু হবে
উত্তরাখণ্ডে আগত ভক্ত ও স্থানীয় নাগরিকদের প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করা হবে। ভ্রমণের রুটে হোর্ডিং, অডিও বার্তা এবং দেয়ালচিত্রের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হবে, যেমন – ‘দেবভূমিকে প্লাস্টিকমুক্ত করুন’। এছাড়া ট্যাক্সিচালক ও যাত্রীদের গাড়িতে ময়লার ব্যাগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্লাস্টিক ব্যবহারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কতাও দেওয়া হবে।
advertisement
প্লাস্টিকের বিকল্পও প্রস্তুত হবে
শুধু নিষেধাজ্ঞাই যথেষ্ট নয়, যাত্রীদের প্লাস্টিকের বিকল্পও দেবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
ডিজিটাল ডিপোজিট রিফান্ড সিস্টেম (DDRS) –
যাত্রা পথে বসানো মেশিনে প্লাস্টিকের বোতল জমা করলে তা ফেরতও পাবেন ভক্তরা।
কাপড়ের ব্যাগের মেশিন
চারধাম যাত্রা পথে বিভিন্ন স্থানে মেশিন বসানো হচ্ছে, যেখানে ভক্তরা বিনামূল্যে/স্বল্প মূল্যে কাপড়ের ব্যাগ পাবেন, যাতে প্লাস্টিকের প্রয়োজন না হয়।
ব্যবস্থাটি ‘কঠোরভাবে’ প্রয়োগ করা হবে
সচেতনতা ও সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কোনও যাত্রী প্লাস্টিক ব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
– একক ব্যবহারের প্লাস্টিক সনাক্ত হলে তাৎক্ষণিক চালান
– সংশ্লিষ্ট দফতরকে তদারকি ও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
আরও পড়ুন : জুনে হেলিকপ্টারে কেদারনাথ ধাম যাবেন? জানুন কবে, কোথায় টিকিট পাবেন
প্রতি বছর অগণিত ভক্ত উত্তরাখণ্ডে চারধাম যাত্রার জন্য আসেন। এবার এই সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, এই ত্রিমুখী কৌশল শুধুমাত্র রাজ্যের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে না, চারধাম যাত্রাকে পরিবেশগতভাবে আদর্শ যাত্রা হিসাবে স্বীকৃতি দেবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব পরাগ মধুকর ধকাতে বলেন, “চারধাম শুধু একটি ধর্মীয় তীর্থস্থান নয়, এটি প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যমও। এবার আমাদের বড় লক্ষ্য হল যাত্রাকে প্লাস্টিক মুক্ত করা, যাতে প্রত্যেক নাগরিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ”। এটি লক্ষ্যণীয় যে যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রীর দরজা খোলার সঙ্গেই সঙ্গেই ৩০ এপ্রিল যাত্রা শুরু হবে। এরপর ২ মে কেদারনাথের দরজা খুলবে এবং বদ্রীনাথ ধামের দরজা ৪ মে খুলবে।