মায়ের করণীয়:
এই সময়টা মায়ের শরীর থেকেই খাবার পায় সদ্যোজাত। তাই মাকে শরীরের যত্ন নিতে হবে। ঠিক সময়ে পুষ্টিযুক্ত খাবার গ্রহণ, নিজেকে হাইড্রেটেড রাখার দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। কাটাতে হবে উদ্বেগহীন জীবন।
শরীরের অবহেলা নয়:
অনেক সময় সদ্যোজাতর খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের দিকে লক্ষ্য দিতে ভুল যান মায়েরা। দীর্ঘমেয়াদে এটা মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এই সময়টা ডায়েটে ভিটামিন, প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখতে হবে। তবে শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও লক্ষ্য দিতে হবে।
advertisement
স্তনে ব্যথা হলে:
স্তনপান করানোর পর অনেক সময়ই স্তনবৃন্তে ব্যথা বা অস্বস্তি হয়। এমনটা হলে ফেলে রাখলে চলবে না। এটা অন্য সমস্যার দিকে মোড় নিতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি।
আরও পড়ুন - Bank Holidays List in West Bengal: মে মাসে প্রচুর দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ, কবে সারবেন কাজ
ওষুধ বুঝে শুনে:
সন্তান জন্ম দেওয়ার পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই এই সময় খুব সহজেই ঠান্ডা লেগে যায়। অনেকেই জ্বর বা সর্দি কাশিতে ভোগেন। এমনটা হলে মর্জিমতো ওষুধ খেলে চলবে না। এতে বুকের দুধে প্রভাব পড়তে হবে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়াই ভালো।
বেশি নয়:
সন্তানকে কতটা বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত এই নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। সাধারণত প্রথম মাসে দিনে ৮-১২ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এই নিয়ে তাড়াহুড়ো না করাই ভালো। সন্তানকে শক্ত কিছু খাওয়ানোর জন্যও জোরজার করাও উচিত নয়।
ধূমপান, মদ্যপান নয়:
সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ালে অ্যালকোহল, সিগারেট থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ নিকোটিন মা ও বাচ্চা উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্যই খুব ক্ষতিকর।
যে সব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে:
জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাক্তে হবে। প্রসেসড ফুড একদম নয়। নুন, চিনি, বাদাম এসবও যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অতিরিক্ত ফ্যাটও একদম নয়। এতে কিন্তু মায়ের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব পড়ে। মনে রাখতে হবে- মা আর সন্তানের স্বাস্থ্য অঙ্গাঙ্গিক ভাবে জড়িত।
