লোকমুখে প্রচলিত, ঠিক সেই সময়ই বীরভূমবাসী ভয়ংকর দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছিলেন। গ্রামবাসীদের খাবারের বিনিময়ে কাজের ব্যবস্থা হয় মন্দিরে। তখনকার দিনে কাজের বিনিময়ে খাবার দেওয়ার রীতি প্রচলন ছিল। এই মন্দিরগুলি চারটি পূর্বমুখী, তিনটি দক্ষিণমুখী, এবং সাতটি পশ্চিমমুখী, আর এই সমস্ত মন্দিরের সামনের মুখে দেখতে পাবেন ফুল পাতার নকশা এই সমস্ত নকশাই এই মন্দিরগুলির মূল আকর্ষণ।
advertisement
তবে শুধুই কি সেটা! ফুলপাতার নকশার পাশাপাশি দেখা যায় এই লঙ্কা যুদ্ধ, সপরিবারে দুর্গা, দশাবতার এইরকমই বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য। চৌধুরী পরিবার মন্দির দেখভাল করার জন্য একটি ট্রাস্ট তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে সেই ট্রাস্ট মন্দিরের দায়িত্বে আছেন। অনেকেই বলেন এই স্থানে আগে শ্মশানকালী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল ১৪ টি শিব মন্দির। আবার কারওর মতে এর বিপরীত ব্যাখ্যাও প্রচলিত রয়েছে।
আরও পড়ুন : আলোবাজনায় সজ্জিত বাহারি শোভাযাত্রায় বিসর্জন, এই পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো দেড় শতাব্দী প্রাচীন
শিবরাত্রির দিন এখানে দূর দূরান্তের মানুষের ঢল নামে। এছাড়াও কালীপুজো হয় মহা ধূমধামের সঙ্গে। তবে সকলের একটাই আবেদন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যেন তিনি এই মন্দির সংস্কারের দিকে একটু নজর দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির রক্ষার্থে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে আর তাঁরই অনুপ্রেরণায় রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে মন্দির সংস্কারের আশা দেখা দেওয়াই খুশির হাওয়া ভক্তদের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন প্রশংসনীয় উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। অন্যদিকে এই মন্দিরের পাশেই দেখতে পাওয়া যাবে আরও পাঁচটি শিব মন্দির। তাহলে এবার যদি আপনি বীরভূম ভ্রমণের জন্য আসেন তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন গণপুরের এই মন্দিরগুলি।