কীভাবে এটা এড়ানো সম্ভব? প্রথমত ত্বকের ধরন বুঝতে হবে। তৈলাক্ত, শুষ্ক, সংবেদনশীল না কি মিশ্র সেটা জানতে হবে। সেই অনুযায়ী পণ্য বাছতে হবে। দ্বিতীয়ত পণ্য তৈরি করতে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সেই তালিকাটা দেখে নিতে হবে। সবশেষে বাজার থেকে কেনা পণ্য সারা মুখে মাখার আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাহলেই বোঝা যাবে সেই পণ্য ত্বকের জন্য উপযুক্ত কি না। কিন্তু সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন সত্ত্বেও যদি ত্বক পুড়ে যায় তাহলে নিরাময়ের জন্য কয়েকটা টিপস এখানে রইল।
advertisement
স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার বন্ধ করতে হবে: যদি মনে হয় ত্বক পুড়ে গিয়েছে তাহলে অবিলম্বে সেই স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট মাখা বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে যে সব পণ্যে রেটিনল, স্যালিসিলিক অ্যাসিড বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড রয়েছে। এগুলো ত্বকের পোড়া অংশ ভাব ছড়িয়ে দিতে পারে। এই সময় কোনও পণ্য ব্যবহার করাই উচিত নয় (যদি না চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন)। যতক্ষণ না ত্বক সেরে যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং-এর মৌলিক বিষয়গুলো মেনে চলাই ভাল।
আরও পড়ুন - Health Tips: শুধু স্বাদের জন্য নয়, গুণেও একেবারে কামাল ‘এই’ আচার, ১০ মিনিটেই বানিয়ে নিন
ত্বকে আর্দ্রতার বাধা: রাসায়নিক পোড়া সরাসরি ত্বকের আর্দ্রতাকে প্রভাবিত করে। ফলে জ্বালা করে। ত্বকে ফের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন, সিরামাইড এবং স্কোয়ালিনের মতো উপাদানগুলি ব্যবহার করতে হবে।
হাইড্রেশনে ফোকাস: যেহেতু ত্বকে আর্দ্রতার প্রতিরক্ষামূলক স্তর নেই, তাই ময়েশ্চারাইজারের মাধ্যমে হাইড্রেশনের উপর আরও ফোকাস করতে হবে। কসমেটিকের কারণে ত্বক পুড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ দিনে ২ বার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন, তাহলে ত্বক পুড়ে যাওয়ার পর সেটা বাড়িয়ে ৪-৫ বার করা উচিত।
আরও পড়ুন - আট দলীয় ফুটবল ম্যাচ নদিয়ায়, অংশগ্রহণ করে বিদেশি খেলোয়াড়রাও
ত্বকের শান্তি: পোড়া ত্বকে অসহ্য জ্বালা করে। তাই শান্ত এবং শীতল উপাদান প্রয়োজন। স্কিনকেয়ার রুটিনে ত্বক প্রশমক উপাদান যোগ করতে হবে। ঘৃতকুমারী, অ্যালো ভেরা মিশ্রিত পণ্য ব্যবহার ত্বককে আরাম দেবে।
সানস্ক্রিন: রাসায়নিকভাবে পোড়া ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন আদর্শ। পোড়া ত্বক সূর্যের সংস্পর্শে এলে আরও বেশি জ্বালা করে। সানস্ক্রিন সেটা রোধ করবে। সঙ্গে ইউভি রশ্মির হাত থেকেও বাঁচাবে।