তাই শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত দু’দশকে ভারতীয় নাগরিকের জীবন একেবারে বদলে গিয়েছে। প্রবল গতিময়তা খানিকটা হলেও ব্যাহত করেছে স্বাভাবিক ছন্দকে। ক্রমশ চেপে বসছে মানসিক চাপ, উদ্বেগ।
আজকাল বেশির ভাগ মানুষ খুব অল্পে রেগে যান। আসলে রাগ, দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা হয়ে উঠেছে নিত্যসঙ্গী। কিন্তু এই সমস্যাগুলি বড় ক্ষতি করে দিতে পারে শরীরের। তাই এগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। এই সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে গেলে মানসিকতার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন। সেই কাজে সাহায্য করতে পারে যোগাসন। ইদানীং খুব জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ব্রেন যোগ’। এতে নিজের মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখা যেতে পারে। মস্তিষ্ক যত সতেজ ও সুস্থ থাকবে, ততই সুন্দর হবে জীবন। মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে ‘ব্রেন যোগা’ অপরিহার্য। মগজের যোগাভ্যাস আমাদের জীবনকে আর একটু ভাল থাকার রসদ যোগাতে পারে।
advertisement
কী ভাবে করা যাবে এই যোগাভ্যাস!
গুজরাতের ভদোদরার বাসিন্দা রূপেশ রাজ এবং বিজয়া রাজ গত ২৫ বছর ধরে মানুষের মধ্যে মস্তিষ্কের যোগব্যায়াম সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করছেন। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের কর্মকাণ্ড। ব্রিটেন, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষকে তাঁরা এই ‘ব্রেন যোগা’ শিখিয়েছেন। ১০টি বিশ্ব রেকর্ডও তৈরি করেছেন তাঁরা।
রূপেশ রাজ বলেন, দুই হাতকে একটি নিখুঁত বৃত্তে ঘুরিয়ে চোখ বন্ধ করে দুই হাতের প্রথম আঙুল সংযুক্ত করতে হবে। উভয় আঙ্গুল একে অপরকে সঠিকভাবে স্পর্শ করতে হবে। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারব আমাদের কতটা একাগ্রতা আছে। আমাদের মস্তিষ্ক প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এই ধরণের ব্যায়ামের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে শান্ত করা যায়।
রাগ প্রশমিত করতে করা যেতে পারে এই অভ্যাস—
হঠাৎ হঠাৎ রেগে যান অনেকেই। এমন হলে প্রথমেই একটা গভীর শ্বাস নিয়ে তা ছেড়ে দিতে হবে। এমন দু’একবার করলেই অনেকটা উপকার পাওয়া যাবে। রাগ, দুশ্চিন্তা, বিষন্নতার মত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হলে ব্রেন যোগ খুবই প্রয়োজন।