সবজির নির্যাস: সবজির খোসা ফেলেই দেওয়া হয়। কিন্তু সে সব দিয়েই স্বাস্থ্যকর স্টক তৈরি করা যায়। ভাতের সঙ্গে তো বটেই অন্য তরকারিতেও ব্যবহার করা যায় অনায়াসে। শুধু স্বাদ নয় এতে পুষ্টির মাত্রা বাড়ে।
কারি পাতার মশলা: শুকনো কারি পাতা, তুর ডাল, কালো মরিচ, নুন, শুকনো লঙ্কা, ধনে, শুকনো আমের গুঁড়ো এবং জিরে মিশিয়ে গুঁড়ো মশলা তৈরি করে নিতে হবে। তারপর ভেজে নিতে হবে ঘিয়ে। এবার ভাত ফোটানোর সময় সেটা মিশিয়ে দিতে হবে। এতে চাল থেকে একরকমের সুগন্ধ ছাড়ে। ভাতও সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর হয়।
advertisement
লেবুর রস: অনেক সময় ভাত ডেলা পাকিয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে লেবুর রস দিতে হবে। ভাত হবে ঝুরো-ঝুরো। সঙ্গে ধবধবে সাদা।
গরম মশলা: ঘি বা তেলে সামান্য গরম মশলা ভেজে নিতে হবে। তারপর সেই পাত্রেই রাঁধতে হবে ভাত। ডাল তরকা বা শুকনো সবজির তরকারিতেও এই মশলা ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি কাশির সিরাপে গাম্বিয়ায় মৃত্যু ৬৬ শিশুর! ওই ওষুধে নিষেধাজ্ঞা WHO-এর
মটরশুটি এবং ভুট্টা: ভাত রান্না করাই হোক কিংবা বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়ে কোনও পদ রাঁধা, এতে মটরশুটি আর ভুট্টা মেশালে স্বাদ এবং স্বাস্থ্য, দুটোই খোলতাই হয়। শুধু পুষ্টির মান বাড়ায় তাই নয়, দেখতেও খুব সুন্দর লাগে।
চিনি এবং মশলা: প্যানে সামান্য ঘি বা তেল দিয়ে তাতে চিনি, স্টার অ্যানিস, এলাচ, লবঙ্গ এবং দারচিনি দিয়ে একটু নেড়ে নিতে হবে। চিনি গলে গিয়ে মশলা সুগন্ধ ছড়াতে আরম্ভ করলে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। এবার এই মশলা ধোয়া চালে মিশিয়ে তারপর ফোটাতে হবে। চাল ধীরে ধীরে বাদামি হয়ে যাবে। ডাল কিংবা সবজিতেও এই মশলা ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে বিজয়া উৎসব জমজমাট! সিঁদুর খেলায় মাতোয়ারা কাজল-রানি
পেঁয়াজ এবং রসুন: চাল ফোটানো ভাত খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেলে তাতে পোড়া বা ক্যারামেলাইজ করা পেঁয়াজ এবং রসুন দিলেই ম্যাজিক। তৎক্ষণাৎ ভাতের স্বাদ বেড়ে যাবে। স্বাদ আরও বাড়াতে চাইলে সামান্য নুন এবং মরিচ ছিটিয়ে দেওয়া যায়। যে কোনও তরকারির সঙ্গে এই ভাত খেতে ভাল লাগে।