এ পরিবারে কন্যাসন্তান হতে পারে না। কখনওই না। এই অদ্ভূত যুক্তি দেখিয়ে পূত্রবধূকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি শাশুড়ি। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন স্বামীও। খাস কলকাতার বুকে এধরনের মধ্যযুগীয় মানসিকতার ছবি। গড়িয়ার হিন্দুস্তান মোড়ের বাসিন্দা দেবযানী সরকারের অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরই চিকিৎসার নামে তাঁকে বাপের বাড়িতে রেখে আসেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। দশ মে কন্যাসন্তান জন্মানোর খবর পেয়ে মা ও মেয়ের মুখ দেখেননি কেউই। অসুস্থ অবস্থায় বারবার শ্বশুরবাড়িতে এলেও মেলেনি ঠাঁই। খোলেনি দরজা।
advertisement
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে থেকেই দেবযানীর উপর মানসিক অত্যাচার চালাতেন শাশুড়ি। অভিযোগ পরিবারের।
পাড়া প্রতিবেশীদের অনুরোধেও চিঁড়ে ভেজেনি। পূত্রবধূকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি শাশুড়ি ও স্বামী।
দেবযানীর আরও অভিযোগ, সোনারপুর থানায় বা কাউন্সিলরকে জানালেও কান দেয়নি কেউই। বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার শ্বশুরবাড়ির দরজায় ধরনায় বসেন তিনি। দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে শাশুড়ি ও স্বামী জানিয়েছেন, ঢোকা যাবে না বাড়িতে