এর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্রেন ডেথ ঘোষণা করার জন্য বোর্ড গঠন করে। জানানো হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে। ছাড়পত্র আসতেই শুক্রবার ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পীযুষ বাবুর ফুসফুস যাবে হায়দ্রাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এসএসকেএম হাসপাতালে যাবে দু'টি কিডনি। কর্নিয়া যাবে অন্য একটি চক্ষু হাসপাতালে। পীযূষবাবুর অঙ্গ হায়দ্রাবাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছে সেখানকার বেসরকারি হাসপাতাল। ভোর চারটের মধ্যে গ্রিন করিডরের মাধ্যমে মল্লিকবাজারের হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে যাবে ফুসফুস। একই সময়ে এসএসকেএম হাসপাতাল পৌঁছবে কিডনি।
advertisement
পীযূষবাবুর দাদা পার্থসারথী ঘোষাল জানিয়েছেন, গত এপ্রিল মাস থেকেই মাথা যন্ত্রণায় ভুগছেন তাঁর ভাই। তখন সিটি স্ক্যান করা হলেও কিছু ধরা পড়েনি। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার মাথার যন্ত্রণা ও পীঠে ব্যথা খুব বেড়ে যায়। শরীর আচ্ছন্ন হয়ে আসতে থাকে। সেই অবস্থায় তাঁকে এই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই চিকিৎসায় তেমন সাড়া দিচ্ছিলেন না পীযূষবাবু। হাসপাতাল জানায় মাথায় টিউমারের কথা। পরবর্তীতে অবস্থার আরও অবনতি হতেই ব্রেন ডেথ ঘোষণা করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিবারের মতামত চাওয়া হয়। প্রথমে সম্মতি দেন তাঁর স্ত্রী। পার্থবাবু বলেন, "ভাই বউ অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিতেই তাতে আমরা সম্মতি দিই। ভাই আর ফিরবে না। কিন্তু ওর জন্য কেউ বাঁচবে। তাতেই আমরা মনে করব ভাই বেঁচে আছে।"
হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ রাত ১১টার পর থেকে অস্ত্রোপচার শুরু হবে। পীযুষবাবুর দেহ থেকে অঙ্গ বের করা হবে। ভোর ৪টের সময় বিশেষ বিমানে অঙ্গ নিয়ে যাওয়া হবে হায়দ্রাবাদের বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে ইতিমধ্যেই ছয় সদস্যের চিকিৎসকদের একটি দল কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন।
Sujoy Pal