তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, গত ২৮ জুন তাদের একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে যায় ৷ সেই প্রতিনিধি দলের সামনেই বিদায়ী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেছিলেন, ‘‘সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা আমার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও, একমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই সরাসরি আমার স্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। আমার স্ত্রী কোনও রাজনীতি করেন না, রাজ্য রাজনীতি নিয়ে কোনওদিন কোথাও কোনও মন্তব্য করেননি। অথচ একমাত্র পার্থই তাঁকে আক্রমণ করেছে। তাই ওঁকে আমি কিছুতেই ছাড়ব না।’’
advertisement
দলীয় মুখপত্রে উল্লেখ, এরপরেই ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ রাজ্যপালকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা তাঁরা কেউই রাজ্যপালের স্ত্রীকে আক্রমণ করিনি। কোথাও বোধহয় একটা ভুল হচ্ছে। কিন্তু ধনখড়কে সেদিন অনড় মনে হয়েছিল। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়টির আলোকপাত করলাম। বিষয়টি কাকতালীয় হতে পারে। কিন্তু একটা খটকা থেকেই গিয়েছে ৷ এর পরেও দলীয় মুখপত্রে আরও একটি গোপন তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘‘সেদিন ধনখড় এও বলেছিলেন, আমার কাছে কিছু প্রসেকিউশনের প্রেয়ার ওয়েটিংলিস্টে রয়েছে।’’
আরও পড়ুন-হঠাৎই কলকাতায় এলেন জ্যাকলিন, পুজো দিলেন কালীঘাটে
কুণালের মন্তব্য, ‘‘আবার বলছি কাকতালীয় হতেই পারে। ঘটনার পিছনে তিনি আছেন বলছি না। তিনি করিয়েছেন, একথা একবারও বলছি না ৷ উনি বলেছেন, আবার ঘটনাও ঘটেছে। তাই দুটোই সামনে রাখলাম। নিশ্চিত ভাবে বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ।’’ প্রসঙ্গত, সারদা, নারদা-সহ নানা মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সিবিআই নিরপেক্ষ পদক্ষেপ করুক। রাজ্য বিজেপি যেভাবে রাজ্যপালের পদের অপব্যবহার করেছে তা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। এই দাবি নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সেখানেই ধনখড় এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বলে উল্লেখ।
