নবান্ন সূত্রে খবর, ‘ল্যান্ড রেকর্ডস’-এ তথ্যের গরমিলের জেরে এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে নবান্ন। শুধু তাই নয়, বিভাগীয় তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় এদের মধ্যে অনেকের পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয়েছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে কয়েকজন আধিকারিকদের পদও। জানিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়েছে নবান্নের অন্দরে। নবান্ন সূত্রে খবর, তার মধ্যে একাধিক আধিকারিক উত্তরবঙ্গের জেলার।
advertisement
বিশেষত আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদের মত জেলাগুলি থেকে বেশি অভিযোগ আসে। আধিকারিকদের কথায় দেখা যাচ্ছে জমি সংক্রান্ত তথ্য ভাণ্ডার বা রাজ্যের ল্যান্ড রেকর্ডের ক্ষেত্রে বহু ক্ষেত্রে বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে বিস্তর ফারাক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাগজ-কলমে দেখানো জমির পরিমাণ এর চেয়ে বাস্তব জমি কম রয়েছে। জমি বিক্রি বা অন্য কোন কারণে জমি মাপ যোগ করলে বিষয়টি ধরা পড়ে। নবান্ন সূত্রে খবর এখনো পর্যন্ত প্রায় চার লক্ষ অভিযোগ হাতে এসেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের হাতে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের পাশাপাশি বেশ কিছু ক্ষেত্রে অসাধু চক্রের লোকজনও ল্যান্ড রেকর্ডসের তথ্যও বদলানোর কাজে জড়িত থাকে। জমির মালিকপক্ষকে বাড়তি আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এই অসাধুচক্র কারবার চালায়।
আরও পড়ুন– প্রচুর ময়লা জমেছে? এই কায়দায় পরিষ্কার করলে সিলিং ফ্যান ঘুরবে একেবারে ঝড়ের বেগে!
দফতরের এক আধিকারিকের কথায় ঋণ পেতে জমি সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। জমি বেশি হলে বাড়ে ঋণের অঙ্ক। এসব ক্ষেত্রে মূলত নথির ওপর ভিত্তি করে ঋণ দেওয়া হয়। ফলে জমির পরিমাণ কম হলেও অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা পান মালিক। নবান্ন সূত্রে খবর, জেলা প্রশাসনকে পাঠানো সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে নবান্নর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মিউটেশন বা ল্যান্ড রেকর্ড সংক্রান্ত কোনও কাজ করার সময় জেলায় নিযুক্ত রেভিনিউ অফিসার রা ভুল তথ্য এন্ট্রি করছেন। এই কারণেই বাস্তবের সঙ্গে বিস্তার ফারাক তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে গোটা বিষয়টি নজরে আসায় মহকুমায় নিযুক্ত ভূমি সংস্কার আধিকারিককে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্য সচিব বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে করা একটি বৈঠকে বিভিন্ন জেলার বিএলআরও-দের সতর্ক করেন। অ্যান্টি করাপশন সেল-কেও আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।