নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আবেদনকারীদের মধ্যে যাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য নাকি, তা খতিয়ে দেখবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। সমস্ত তথ্য যাচাই করে এই নথিগুলি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হলে তবেই তাদের আবেদন অনুমোদন করবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। প্রসঙ্গত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা দেওয়ার জন্য নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আধার কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র নথিগুলি থাকলে তবেই আবেদনকারীদের আবেদন অনুমোদন হবে। কিন্তু তাঁদের যদি এই নথিগুলি না থাকে, তবুও তারা আবেদন করতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সাংসদ পদে পদত্যাগ সাঙ্গ, বাবুল সুপ্রিয়কে এবার বড় দায়িত্ব দিল তৃণমূল!
শুক্রবার সেই নির্দেশিকার সরলীকরণ করল রাজ্য। ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি জেলাকে সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত প্রায় ৩৫ লক্ষ আবেদন অসম্পূর্ণ থেকে ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য। যার মধ্যে আট লক্ষের বেশি আবেদনকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ভ্যালিডেশন না থাকায় রাজ্যের আর্থিক সুবিধা পাঠানোর পরেও তাদের সুবিধা দেওয়া যাচ্ছিল না। পাশাপাশি ২৬ লক্ষেরও বেশি আবেদনকারীদের আবেদন অসম্পূর্ণ হয়েছিল। যার যে প্রায় ৩৫ লক্ষের কাছাকাছি আবেদনকারীদের কীভাবে আর্থিক সুবিধা দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে চিন্তায় ছিল নবান্ন। শুক্রবার এই নির্দেশিকার জেরে অনেকটাই জটিলতা কাটবে বলেই মনে করছে নবান্ন। প্রসঙ্গত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সব সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন।