প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি বেসরকারি এয়ারলাইনস সংস্থার সঙ্গে এই আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলি কোচবিহার এয়ারপোর্ট (West Bengal Airport) থেকে কোন কোন রুটে পরিষেবা শুরু করতে চাইছে, ৯০ আসনবিশিষ্ট বিমান দিতে পারবে কিনা, বিমানবন্দরের পরিকাঠামো নিয়ে তাদের কী ভাবনা সেই বিষয় সম্পর্কে বুঝতে চাইছে নবান্ন।
আরও পড়ুন : দিতে হবে বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ! হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার...
advertisement
গত সপ্তাহে মুখ্যসচিব এই বিষয় নিয়ে কোচবিহার-সহ (Coachbihar Airport) কয়েকটি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। মূলত এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলি কোচবিহার থেকে কোন কোন রুটে উড়ান পরিষেবা (West Bengal Airport) চায় তা নিয়েই আগে ধারণা করে নিতে চাইছে নবান্ন। তারপর এই বিষয়টি নিয়ে আরও এগোনোর চিন্তাভাবনা রয়েছে নবান্নের বলেই সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই ৯০ আসনবিশিষ্ট বিমান পরিষেবা (West Bengal Airport) শুরু করার জন্য কোচবিহার এয়ারপোর্ট রানওয়ে (Coachbihar Airport) পর্যাপ্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এয়ারপোর্ট-এর (Bangla News) বেশ কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। সেই কাজগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশ জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যেই এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া কোচবিহার এয়ারপোর্ট (Coachbihar Airport) পরিদর্শন করেছে। তাদের তরফ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। পরিদর্শন করার কথা ডিজিসিএ আধিকারিকদেরও। ডিজিসিএ থেকে ছাড়পত্র পেয়ে যাবে বলেও আশা করছে নবান্ন। সে ক্ষেত্রে কোচবিহার এয়ারপোর্ট থেকে দ্রুত বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন :"আমরা জানি কোন দেবতা কোন ফুলে তুষ্ট"... শিলিগুড়িতে তৃণমূলকে কী বার্তা সুকান্তর?
প্রসঙ্গত কোচবিহার বিমানবন্দরের পাশাপাশি বালুরঘাট ও মালদহ এয়ারপোর্ট নিয়ে গত সপ্তাহের বৈঠকে মুখ্যসচিব আলোচনা করেছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। সে ক্ষেত্রে বালুরঘাট এয়ারপোর্ট এর আরও রানওয়ে হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, সূত্রের খবর, মালদহ এয়ারপোর্ট নিয়েও বেশকিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। যদিও বাগডোগরা বিমানবন্দরের পর কোচবিহার বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হলে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। আর তাই এবার কোচবিহার এয়ারপোর্ট-এ বাণিজ্যিক পরিষেবা দ্রুত শুরু করার জন্য প্রাথমিকভাবে টার্গেট নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়