বুধবারই ভোট-পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। সেখানে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতকে বলছে তারা সিবিআই তদন্তে পক্ষপাতদুষ্টতার গন্ধ পাচ্ছে। কারণ সিবিআই কাজ করছে কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনে। কেন্দ্রের নির্দেশে কোনঠাসা করা হচ্ছে তৃণমূলের নেতাদের।
অবশ্য এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট এখুনি কোনও রায় দেয় কিনা সে বিষয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। কেননা আগেভাগে যাতে সুপ্রিম কোর্ট রায় না দেয় তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে হাইকোর্টে মামলা করা একাধিক আবেদনকারী ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছে সুপ্রিম কোর্টে।
advertisement
গত ১৯আগস্ট ভোট-পরবর্তী খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। নির্দেশে বলা হয় খুন ধর্ষণের মতো ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে তদন্ত করবে সিবিআই। অপেক্ষাকৃত কম হিংসাত্মক ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে তদন্ত করবে সিট। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট চায় হাইকোর্ট।
রাজ্য সরকার অবশ্য প্রথম প্রতিবাদ করছিল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে রায়দানের। রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে এই রায় মান্যতা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যে প্রতিনিধি দল এই রিপোর্টটি তৈরির নেপথ্য ছিলেন, তারা বিজেপি কর্মী।
উল্লেখ্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছিল ১৯০০-র বেশি অভিযোগে সারবত্তা রয়েছে। এর মধ্যে বাহাত্তরটি ধর্ষণের ঘটনা এবং অন্তত ৫২ টি খুনের অভিযোগ রয়েছে।
রাজ্য সরকারের যুক্তি, এর মধ্যে বহু ঘটনার ক্ষেত্রেই হয় কোনও এফআইআর হয়নি, নয়তো এমন সময়ের ঘটনা যে সময় রাজ্য প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল।