ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুর্গাপুজো শেষ হলেই রাজ্যের প্রতি ব্লকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করে সেই মঞ্চে ওই ব্লকের প্রতি বুথ থেকে ২ জন করে অন্তত ৫০০ কর্মীকে সম্বর্ধনা দিতে হবে। তবে, সেই কর্মী নির্বাচন করতে হবে, দলের পুরনো কর্মীদের মধ্য থেকে। এ বিষয়ে কোন লক্ষ্মণরেখা না টানা থাকলেও, মৌখিক ভাবে বলা হচ্ছে, এই কর্মী নির্বাচন করতে হবে ২০১১কে 'বেঞ্চ মার্ক' ধরে। অর্থাৎ, সম্বর্ধনার জন্য নির্বাচিত কর্মীকে অবশ্যই ' আদি তৃণমূল ' হতে হবে।
advertisement
১১ ই অক্টোবর থেকে ২২ শে অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা এলাকায় এই সম্মেলন করে সম্বধনা দেওয়ার বিষয়টি সেরে ফেলতে হবে। প্রায় ৭০ টির মত বিধানসভা যেখানে দলের বিধায়ক নেই, সেখানে ওই দায়িত্ব দলের পুরসভা বা পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের নেতৃত্বকে নিতে হবে৷ অর্থাৎ, রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা এলাকাতেই এই কর্মসূচি পালন করতে হবে।
সম্বর্ধনা দেওয়ার বিষয়ে ওই নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, দলের পুরনো ওই নেতা বা কর্মীকে মঞ্চে ফুলের তোড়া ও মিষ্টির প্যাকেট এবং দলীয় উত্তরীয় পরিয়ে এই সম্বর্ধনা দিতে হবে। সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের পুরোটাই ছবি ও ভিডিওগ্রাফি করে তা প্রমান হিসাবে পাঠাতে হবে কলকাতায় অভিষেকের দফতরে। একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে এই অনুষ্ঠান করার জন্য কোনরকম চাঁদা তোলা যাবে না। এ ধরনের কোন অভিযোগ পেলে, দল যে তা ভাল ভাবে মেনে নেবে না, সে কথাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
আরও পড়ুন: সিনেমার মতো প্লট! চার স্কুল পড়ুয়াকে এক সঙ্গে অপহরণের ছক বর্ধমানে!
এদিকে, নির্দেশিকা পালনে আর্থিক দায় নেওয়া নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা আড়ালে আবডালে ক্ষোভ চেপে রাখেননি। । ঘনিষ্ট মহলে অনেকেই বলছেন, ৫০০ জনকে সম্বর্ধনা দেওয়াইতো শুধু নয়, ব্লকস্তরে পুরসভা, পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধি, দলের শাখা সংগঠনের কর্মীদের সামিল করে অনুষ্ঠান করতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেবে কে? চাঁদা নেওয়া নিয়ে কড়া ফতোয়া দেওয়ায় সমস্যা আরো বেড়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডল - দলের নেতা মন্ত্রীদের পাহাড় প্রমান দূর্নীতি সামনে আসার পর জনমানসে দলের ভাবমূর্তি তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দলের আদি - নব্য দ্বন্দ। পঞ্চায়েতের আগে দলের পুরনো সৈনিকদের সম্মান জানিয়ে সেই হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করল দল।
ARUP DUTTA