যারা ভোটের দিন পর্যন্ত দলের বিরোধিতা করেছে, তাঁদের জন্য দরজা বন্ধ। যাঁরা সময়াভাবে নির্দিষ্ট দিনে নাম প্রত্যাহার করতে পারেননি, কিন্তু ভোটের আগেই দলের সঙ্গে চলে এসেছিলেন, কেস ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সভাপতিরা রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন নেবেন।
আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে ফের বন্ধ ট্রেন, প্রায় ১২ ঘণ্টা শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় বাতিল সব লোকাল
advertisement
দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ালে কিছুতেই ফেরানো হবে না। ভোটের আগেই ঘোষণা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বস্তুত রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই শাসকদলের কমবেশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কা ছিল। সেই জন্য আগেভাগে বার্তাও দিয়ে রেখেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সেই বার্তার পরেই বহু তৃণমূল নেতাকর্মীই শেষমুহূর্তে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আবার অনেকে হয়তো সময়ের অভাবে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে পারেননি। এবং তাঁদের মধ্যে অনেকে জিতেও গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কবে থেকে শুরু স্নাতকোত্তরে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি? বিজ্ঞপ্তি জারি করল উচ্চশিক্ষা দফতর
দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন, যারা ভোটের দিন পর্যন্ত দলের বিরোধিতা করে গিয়েছেন, তাঁদের ফেরানোর প্রশ্নই ওঠে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সে কথা। কিন্তু এমন অনেক নির্দল প্রার্থীই আছেন যারা হয়ত প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে চেয়েও সময়ের অভাবে করতে পারেননি। আগে থেকে জেলা সভাপতিকে জানিয়ে ভোটের সময় তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেছেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে হয়ত নিজের জনপ্রিয়তার জোরে ভোটে জিতে গিয়েছেন, তাঁদের জেলা সভাপতিরা চাইলে ফিরিয়ে নিতেই পারেন। পুরো সিদ্ধান্তই নেবেন জেলা সভাপতি। তবে নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে দেখা গিয়েছিল দলের নির্দেশ না মানায় একাধিক নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।