পাঁচ বছর পর হল তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন। দলের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্নির্বাচন সম্পন্ন হল। এদিন দুপুর ১২ টা থেকে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হয় নির্বাচন প্রক্রিয়া। তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাক্ষী হওয়ার জন্য বিরোধী দলগুলিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন-আজ ও কাল কুয়াশার দাপট, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে ? জেনে নিন
advertisement
লক্ষ্য ২০২৪। মোদি বিরোধীতায় জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি বিরোধিতায় প্রধান মুখ হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই অবস্থায় সংগঠন ঢেলে সাজাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘আপনারা দলটাকে মজবুত করে গড়ে তুলুন। আর আমাকে বলুন দিদি আপনি দেশ থেকে বিজেপিকে হঠান ৷ ১৯৯৮ সাল থেকে অনেক ঝড় অতিক্রম করে, আজকে এই জায়গায় তৃণমূল এসেছে। বাংলায় উত্থান। বাংলা তৃণমূল কংগ্রেস ছিল এটা প্রথমে। পরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইউনিট খোলায়, অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস নাম হয়। কোনও না কোনও রাজ্য থেকে একটা করে রাজনৈতিক দলের উত্থান হয়। কংগ্রেস যেমন ইউপি, বিজেপি গুজরাত। আর বাংলা থেকেই তৃণমূল প্রথম কাজ শুরু করে। বাংলার ছেলে মেয়েদের হাতে এখন অনেক কাজ আছে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। দেশ ও তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে জানতে হবে ৷’’
এর পাশাপাশি বিজেপিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তৃণমূল নেত্রী ৷ তিনি বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় গেলেই মারা হচ্ছে। অত্যাচার হচ্ছে। সাংবাদিকরা অবধি ওখানে রেহাই পাচ্ছেন না। বাংলায় এটা নেই। তৃণমূলের আরেক নাম আন্দোলন, সংগ্রাম। তৃণমূল মুখের কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। একটা দল শুধু টাকায় চলছে। কংগ্রেস দল বিজেপির হয়ে মেঘালয় ও চন্ডীগড়ে ভোট করে দেয়। আমরা চেয়েছিলাম বিজেপি বিরোধী দল একসাথে আসুক। কিন্তু কেউ অহংকার করে বসে থাকে তাহলে একলা চলতে হবে। এদিকে পদ্মভূষণ সম্মান রাজনৈতিক দূষণে পরিণত হয়েছে। বিজেপির দুই নেতা শুনলাম রশিদের বাড়ি গিয়ে দিয়ে এসেছে। সন্ধ্যাদিকে অপমান করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা খারাপ ৷’’