আরও পড়ুন- তাপমাত্রা সামান্য বাড়ল রাজ্যে, কুয়াশার সতর্কতা সর্বত্র, জাঁকিয়ে শীত কবে?
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা। সে বারের বিপুল জয় বুঝিয়ে দিয়েছিল, ওই প্রকল্প কার্যত গেমচেঞ্জার হয়েছে। গত বছর লোকসভা ভোটের আগে ভাতার অঙ্ক বাড়িয়ে যেন আরও একবার প্রকল্পটির গুরুত্ব যাচাই করে নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে হাতে আছে মাসচারেক। তার আগে, রাজ্যে তিন দফায় জোড়াফুল সরকারের সাড়ে ১৪ বছরে উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
ভোটে জিততে গত ১৪ বছরে উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ানকেই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালের মে থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত প্রকল্পের অগ্রগতি জেলায় কী রকম, তার পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রচারপুস্তিকা তৈরি করা হয়েছে। ভোটের প্রচারে সেই পুস্তিকা নিয়েই দ্বারে দ্বারে ঘুরবেন দলের নেতা-কর্মীরা।
বিরোধীরা যখন প্রচারে তুলে ধরছেন, জেলায় একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কিংবা দূর্নীতি কাণ্ডের প্রসঙ্গ। তখন প্রচারে তৃণমূলের অস্ত্র উন্নয়ন। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, মুখে বড় বড় কথা আর প্রতিশ্রুতিতে মানুষ এখন আর বিশ্বাস করেন না। তাঁরা চান, তাঁদের নিজেদের এলাকার উন্নয়ন চোখের সামনে দেখতে। মুখ্যমন্ত্রী ঠিক সেই কাজটাই করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই উন্নয়নই তাঁরা মানুষের সামনে তুলে ধরছেন। পুস্তিকার প্রথম পাতায় বড় বড় করে লেখা, ‘উন্নয়নের নজির’। বিভিন্ন দফতর ধরে ধরে তিন বছরে জেলায় যা যা উন্নয়ন হয়েছে, পুস্তিকাতে তা তুলে ধরা হয়েছে।
পাল্টা বিরোধী দলগুলিও তৃণমূল রাজ্য সরকারে ক্ষমতায় আসার পরে জেলায় যে ভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধে ভোটের প্রচার শুরু করেছে। তাঁদের দাবি, তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলায় উন্নয়নের তালিকা যতটা না বাস্তবে তার বেশি কথায় ও পরিকল্পনায়।
