আর এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, " তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে এসেছিলেন আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন এমন অনেকেই ফের বিজেপিতে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তবে আমরা সেই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের আর নেব না। আমরা আগ্রহী কর্মীদের নিতে। তৃণমূল ছেড়ে জেলায় জেলায় অনেক কর্মীই এখন বিজেপি শিবিরে যোগ দিচ্ছেন"।
advertisement
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে ফের ভয়াবহ ধস, আটকে বাংলার পর্যটকেরা! মৃত্যু ট্রেকারের
তবে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন কোন সেই নেতা যাদের ঘরওয়াপসি হয়েছে যারা বিজেপিতে আসতে চেয়ে ফের যোগাযোগ করেছেন, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, 'সেই সমস্ত তৃণমূলী নেতাদের নিয়ে আমাদের কোনও আগ্রহই নেই। আমরা আগেও বলেছি এখনও বলছি, নেতাদের জন্য বিজেপির দরজা বন্ধ। আর সৎ কর্মীদের জন্য দরজা খোলা আছে'। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, 'এমন কোনও তৃণমূল নেতা খুঁজে পাচ্ছি না যারা সৎ, দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, এই মুহূর্তে তাই যারা বিজেপিতে আসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সেই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের আমরা দলে নেব না। এটাই আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। কারণ আমরা মনে করি তৃণমূল নেতাদের সবাই চোর'।
আরও পড়ুন: ছবিতে ঐক্য কিন্তু বাস্তবে কই, বঙ্গ বিজেপির কোন্দল নিয়ে জোর চর্চা অন্দরেই
প্রসঙ্গত, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতার সংখ্যা কম নয়৷ ২০২১ নির্বাচনের আগে অনেকেই শিবির বদল করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন৷ নির্বাচনের পর ফিরেও এসেছিলেন অনেকে৷ তবে তখন যোগদান মেলায় কোনও রকম ছাঁকনি ব্যবহার করেনি গেরুয়া শিবির। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বারে তাই করছে বঙ্গবিজেপি ৷ সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ইস্যুতে একাধিক অভিযোগ উঠেছে৷ সেই দূর্নীতির অভিযোগে কোনও অভিযুক্ত নেতা যাতে বিজেপিতে নাম লেখাতে না পারেন, সেই কারণেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপি সূত্রে এমনই খবর।
বৈদিক ভিলেজে প্রশিক্ষণ শিবির চলাকালীন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকেও নাকি এই বার্তাই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে, কোনও তৃণমূলের নেতা যদি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন, তা হলে কোনও ভাবেই যেন তাঁদের দলে নেওয়া না হয়, এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে বিজেপি সূত্রে৷ তবে দিলীপ ঘোষ বলছেন, তৃণমূল নেতারা ঝাঁকে ঝাঁকে ফের আসবেন। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের সাফ কথা, 'ওদের জন্য দরজা বন্ধ'।
