অন্যান্য জেলার মতো ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে হওয়া বৈঠকে এই দুই জেলার নেতৃত্বকেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জেলায় সাংগঠনিকভাবে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে সকলকে। যেসব এলাকায় এখনও কাজ বাকি রয়েছে সেখানে প্রাধান্য দিতে হবে। দলের সর্বস্তরের কর্মীদের নিয়ে মাঠে নামতে হবে। আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে, তাদের সমস্যার কথা শুনতে হবে এবং বাস্তবে যে সমস্যাগুলি রয়েছে সেগুলি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
advertisement
একই সঙ্গে জঙ্গলমহলে রাজ্য সরকারের যেসব উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে সেগুলিকে আরও বেশি করে প্রচারের আলোয় আনতে হবে। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ ক্যাম্পে স্থানীয় নেতৃত্ব-জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে হবে। বুথে লাগাতার কর্মসূচি নিতে হবে। ছোট ছোট মিটিং করতে হবে। সাংগঠনিকভাবে জেলা আরও মজবুত করতে নতুন মুখ তুলে আনার দিকেও জোর দেন অভিষেক। সেইসঙ্গে নতুন, পুরনো নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়ের বার্তাও দেন অভিষেক। ব্লক সভাপতির পদ নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে তা লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
তবে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ বা অন্তর্দ্বন্দ্ব সহ্য করা হবে না বলেই সতর্ক করেন তিনি। টাউন-ব্লক সভাপতি পরিবর্তন ও পরিমার্জন নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়। বৈঠকে দুই জেলার সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান, যুব সভাপতি, মহিলা সভানেত্রী, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি, ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশনের নেতৃত্ব এবং একাধিক বিধায়ক-মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুই সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব হাজির ছিল এই বৈঠকে।
লোকসভায় বিজেপির থেকে বাঁকুড়া আসন তৃণমূল কংগ্রেস ছিনিয়ে নিলেও, বিষ্ণুপুর আসনে স্বল্প ভোটে হেরে যায় জোড়া ফুল শিবির। রাজনৈতিক মহলের মতে বিষ্ণুপুরে যতটা ভোট নিয়ে ব্যাস্ত থাকা দরকার ছিল, অনেকে তাই এড়িয়ে গেছেন। সংগঠনে প্রাথমিকভাবে বদল এসেছে। আগামীদিনে জেলা স্তরে ব্লক স্তর অবধি বদল আসতে পারে। সূত্রের খবর তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।