কয়েকদিন আগেই দলের নেতাদের একাংশের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর৷ এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়৷ দল যে তাঁর মন্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি, তা জানিয়ে সাংসদকে জানিযে দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়৷
আরও পড়ুন: জহর সরকারের বিরুদ্ধে কি কড়া ব্যবস্থা? মনোভাব জানিয়ে সাংসদকে চিঠি দিল দল
advertisement
কয়েকদিন আগেই সংবাদমাধ্যমে জহর বলেছিলেন, 'এক পাশ পচা শরীর নিয়ে ২০২৪-এ বিজেপি-র মোকাবিলা করা কঠিন হবে তৃণমূলের পক্ষে৷' প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও-র নিশানায় ছিলেন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত দলের নেতারা৷ এর পরেই জহর সরকারকে সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার 'পরামর্শ' দিয়েছিলেন সৌগত রায়, তাপস রায়ের মতো তৃণমূল নেতারা৷ জহর সরকার অবশ্য জানিয়েছিলেন, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে তিনি সাংসদ পদে ইস্তফা দিতে তৈরি৷
দলের রাজ্যসভার গ্রুপ থেকে বাদ পড়ার পর জহর সরকার কী করেন, সেটাই এখন দেখার৷ সূত্রের খবর, জহর নিজে থেকে পদত্যাগ করুন, এমনটাই চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ কারণ নিজের বক্তব্যের সপক্ষে সাংসদ যে ব্যাখ্যা দলকে দেন, তাতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব সন্তুষ্ট নয়৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বরাবরের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন জহর সরকার৷ ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে আসার পর জহর সরকারকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলদের গ্রেফতারির পর দলের নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে সরব হন জহর৷ তার পরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সাংসদের৷ তাঁর উপরে যে দল রুষ্ট, তা বুঝিয়ে েদওয়া হয় সাংসদকে৷ যদিও রাজ্যসভার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জহর সরকার৷