গ্রেফতারি এড়াতে দেশের একাধিক শহরে থাকছিলেন পবন রুইয়া। শেষপর্যন্ত দিল্লির সুন্দরনগরের বাড়ি থেকে এদিন জেসপের কর্ণধার ও শিল্পপতি পবন রুইয়াকে গ্রেফতার করল রাজ্য গোয়েন্দা দফতর।
কীভাবে গ্রেফতার হলেন জেপস কর্তা পবন রুইয়া?
জন্মদিনের দিনই দিল্লির সুন্দরনগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হল জেসপ কর্তা। শনিবার সকালে সুন্দরনগরের বাড়িতে হানা দেয় সিআইডির ৬ সদস্যের দল। বাড়িতে চলছিল জন্মদিনের প্রস্তুতি। পুজোপাঠের জন্য হাজির ছিলেন পণ্ডিত। পাশাপাশি, চলছিল জন্মদিনের কেক কাটার প্রস্তুতিও। সেই সময় ঘরে ঢুকতে যায় সিআইডি। বাধা দেয় রুইয়ার পরিচারকেরা। তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় সিআইডি আধিকারিকদের। তারই মধ্যে একটি ঘরে লুকিয়ে পড়েন রুইয়া। বাইরে থেকে লক করে দেওয়া হয় ঘরটি। শাবল দিয়ে দরজা ভাঙার চেষ্টা করে সিআইডি। দরজা ভাঙতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। বিপদ বুঝে পিছনের ব্যালকনি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে রুইয়া। কিন্তু শেষরক্ষা হয় না ।
advertisement
শুনানির আগেই গ্রেফতার হয়ে গেলেন রুইয়া। সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে রুইয়াদের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল । রেলের অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল FIR ।
সেই FIR-কে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা করে রুইয়ারা। এর আগে হাইকোর্ট থেকে রেহাই মেলে রুইয়ার। দুই FIR-এর ক্ষেত্রে রেহাই মিলেছিল। অগ্নিকাণ্ডে অন্তর্ঘাতের মামলা ছাড়াও রেলের পঞ্চাশ কোটি টাকার কাঁচামালের হিসেবে গরমিলের অভিযোগে ওঠে জেসপ কর্তার বিরুদ্ধে ৷ এডিজি সিআইডিকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেন রেলওয়ে স্টোর বিভাগের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এ কে ভার্মা। অভিযোগের কেন্দ্রে জেসপকে রেলের দেওয়া ৫০ কোটি টাকার কাঁচামাল। যার কোনও হদিশই পাচ্ছেন না রেলবোর্ডের কর্তারা ৷ দমদম থানার স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগে একটি FIR করা হয়। অবশেষে গ্রেফতারি ৷
পবন রুইয়ার গ্রেফতারিতে খুশি জেসপের কর্মীরা। ফের কারখানার খোলার আশা কর্মী ইউনিয়নের।