গুরুত্বের বিচারে এই তিনটি ঘরই রাজ্যের শীর্ষ পদাধিকারীর জন্য বরাদ্দ করা হয়। অতীতে এই ঘরে থাকতেন বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রী থেকে শুরু করে সর্বশেষ রাজ্যের সাধারন সম্পাদক সংগঠন অমল চ্যাটার্জী ও আরও অনেকে। উল্লেখ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মুকুল রায়কেও দেওয়া হয়েছিল এই সারির প্রথম ঘরটি। বর্তমানে মুকুলের ফেলে আসা ঘরই দিলীপের জন্য বরাদ্দ। যদিও, সেই ঘরে খুব বেশিদিন ছিলেন না মুকুল। অপরিসর বারান্দা, দর্শনার্থীদের অসুবিধা, এমনি নানা অসুবিধার কারণে রাজ্য দফতর ছেড়ে হেস্টিংসে দপ্তর খোলেন মুকুল।
advertisement
সূত্রের খবর, আপাতত অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এই তিনটি ঘরকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি এড়িয়েই গোটাটা করতে চাইছে রাজ্য বিজেপি। প্রতিটি ঘরের সঙ্গে থাকছে অ্যাটাচড বাথ, বিশ্রাম কক্ষ ও সিক্রেট চেম্বার। অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের দ্বিতলের সিঁড়ির মুখেই বসবে গেট। থাকবেন নিরাপত্তা কর্মীরা। সাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রনের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করতে চায় রাজ্য বিজেপি। গোটা এলাকাটি আলাদা করে সিসিটিভি নিরাপত্তায় মোড়া হবে বলেই বিজেপির অন্দর সূত্রে খবর।
বলাই বাহুল্য হেস্টিংসে দলীয় কাজের দফতর ধীরে ধীরে গুটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্তের পরই, রাজ্য দফতরকে আবার ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে এই সংযোজন।
