এ দিন রাজ্য বিজেপির বর্ধিত প্রদেশ কার্যকারিণী বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেন, আমিও রাষ্ট্রবাদী মুসলিমের কথা বলেছিলাম৷ আপনারাও বলেছিলেন, কিন্তু, আর বলব না৷ বলব, ‘জো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ’৷ ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ বন্ধ করো। সংখ্যালঘু মোর্চার কোনও দরকার নেই।’
আরও পড়ুন: ২১ জুলাই তৃণমূলে যোগ দুই বিজেপি সাংসদের! দাবি কুণালের, এবার কি ‘দরজা’ খুলবেন মমতা-অভিষেক?
advertisement
শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যে বিজেপির অন্দরেই ঝড় ওঠে৷ কারণ সবকা সাথ, সবকা বিকাশের স্লোগান শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ শুভেন্দু সেই মন্তব্যকেই কার্যত বর্জন করার ডাক দেন৷ বিষয়টি নিয়ে রাজ্য বিজেপি তো বটেই, সর্বভারতীয় স্তরেও শোরগোল শুরু হয়৷ রাজ্য বিজেপির নেতারাও শুভেন্দু ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে দায় এড়ান৷
তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরেই নতুন করে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দেন শুভেন্দু অধিকারী৷ পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন৷
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী আরও লেখেন, ‘আমার মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে৷ আমি পরিষ্কার ভাবে বলেছি, যাঁরা রাষ্ট্রবাদী, দেশ এবং বাংলার পক্ষে, আমরা তাঁদের পক্ষেই থাকব৷ যাঁরা দেশ এবং বাংলা বিরোধী কাজ করে, আমাদের সঙ্গে নেই, তাদের মুখোশ আমরা খুলে দেব৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আমরা মানুষকে সংখ্যাগুরু অথবা সংখ্যালঘু নয়, ভারতীয় হিসেবে দেখি৷ প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের যে স্লোগান প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, তার প্রতিটি শব্দ এবং উদ্দেশ্যের উপরে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে৷’