সুন্দরবনের বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখার জন্য ফি বছর জঙ্গলে যায় দেশবিদেশের হাজার হাজার পর্যটক। কিন্তু এবার ব্যাপারটা উল্টো। সুন্দরবনের বাসিন্দা সপরিবারে চিড়িয়াখানায় এলেন বাঘ দেখতে!
আরও পড়ুন- শীতের হাত ধরে তিলোত্তমায় ফিরল দোতলা বাস! শহর পেল বড়দিনের উপহার
সুন্দরবনের গোসাবা এলাকার বাসিন্দা সন্তু মণ্ডল জানান, "বাড়ি সুন্দরবনে হলেও কোনওদিন বাঘ দেখার সৌভাগ্য হয়নি। পড়াশোনার জন্য ছোট থাকতেই ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে থাকতে হয়েছে। চিড়িয়াখানাতেও এই প্রথম আসা।
advertisement
বর্তমানে চাকরির সৌজন্যে দেশবিদেশ ঘুরতে হয়। গ্রামের বাড়িতে খুব একটা যাওয়া হয় না। আর গেলেও কোনও দিন বাঘ দেখার সুযোগ হয়নি। তবে অনেক গল্প শুনেছেন। বাঘে আক্রান্ত মানুষ দেখেছেন। এমনকী বাঘের পায়ের ছাপও দেখেছেন। কিন্তু কোনওদিন বাঘ দেখিননি।
তিনি বলেন, স্ত্রী, ছেলেমেয়েরা আমার কাছে অনেক গল্প শুনেছে। কিন্তু সামনে থেকে কোনও দিন বাঘ দেখিনি। সেই কারণেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি বাঘ দেখতে।
তবে শুধুমাত্র বাঘ কেন, এখানে বাঘের পাশাপাশি হাতি, গন্ডার, জলহস্তী, চিতা, শিয়াল, হরিণ, জেব্রা, শিম্পাঞ্জি, কুমির সহ বিভিন্ন রকম পশুপাখি এক জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। জঙ্গলে সেটা হয় না। একটা জঙ্গলে সব রকমের প্রাণী দেখা যায় না।
আরও পড়ুন- শহরে শীতের উৎসব শুরু, বড়দিনে যাত্রী সুবিধায় বাড়তি মেট্রো!
সুন্দরবনের বাসিন্দা বলেন, এখানে বাঘ দেখতে যতটা মজা লাগে জঙ্গলে বাঘ দেখতে না পেলেও বাঘের যে আতঙ্ক থাকে তা বলে বোঝানো যাবে না।"
মৌসুমি মণ্ডল বলেন, "শ্বশুর বাড়ি সুন্দরবনে। কিন্তু জঙ্গলে বাঘ দেখা ভাগ্যের ব্যাপার। বিয়ের আগে কয়েকবার সুন্দরবনে গিয়েছিলাম বাঘ দেখতে। কিন্তু কোনওবারই বাঘ দেখা হয়নি। তবে চিড়িয়াখানায় ছোটবেলায় একবার এসেছিলাম। সরকম কিছু মনে নেই। টিভিতেও বাঘ দেখেছি।তবে শ্বশুর বাড়ির গ্রামে বাঘ এলে একবার দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।"