সূত্রের খবর, এই সরকারি ভবনগুলি হল নবান্ন, স্বাস্থ্য ভবন, স্বাস্থ্য সাথী, বিকাশ ভবন ও কলকাতা পুরসভার সদর দফতর। রাজ্য সরকার ও বেঙ্গল কেমিক্যালের যৌথ উদ্যোগে এই রোগ নির্ণয় ও রক্তপরীক্ষার হাইটেক যন্ত্র 'কাউড ক্লিনিক হেলথ এটিএম' আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১ ঘণ্টা AC চালালে কতটা পোড়ে তেল! না জানলে গরম কমাতে গিয়ে ফাঁকা হয়ে যাবে পকেট?
advertisement
সূত্রের দাবি, এর ফলে উপকৃত হবেন কয়েক হাজার সরকারি কর্মী এবং পুরসভার কর্মী- আধিকারিকরা। এইসব পরীক্ষা যে কোনও বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে করাতে হলে কয়েক কোটি টাকা খরচ করবে রাজ্যই।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত হেলথ এটিএমের অনেক কিছু সুবিধা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমত, এখানে প্রবেশ করে নিজের তথ্যাবলি জানালে সেই ইনফরমেশন রেকর্ড হয়ে থাকবে ক্লাউডে। ফলে যতবারই রোগী পরীক্ষা করাবেন, ততবারই আগের রিপোর্টের সঙ্গে নতুন রিপোর্টের তুলনা করার সুযোগ থাকবে।
দ্বিতীয়ত, সমস্ত রিপোর্ট ই-মেল এবং হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। তৃতীয়ত, রিপোর্টের পাশাপাশি কী ধরনের ডায়েট প্ল্যান করলে সেই ব্যক্তি নিরোগ ও ফিট থাকবেন, তা জানিয়ে দেবে অভিনব এই মেশিন।
চতুর্থত, কিউ আর কোড লাগানো ব্যক্তিগত হেলথ কার্ড বেরিয়ে আসবে মেশিন থেকে। পাঁচ, প্রয়োজনে ডাক্তারের সঙ্গে ভিডিও বা অডিও কলে কথা বলার সুযোগ রয়েছে এই যন্ত্রে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিক লিমিটেডের তৈরি এই হেলথ এটিএম গুলি ইতিমধ্যেই চলে এসেছে বেঙ্গল কেমিক্যালের ডালহৌসির সদর দফতরে। সূত্রের খবর, যন্ত্রগুলি নিখরচায় পাঠাচ্ছে হ্যাল। রক্ত পরীক্ষার জন্য জরুরি প্রায় ৭৫ হাজার টাকার অ্যান্টিজেন ও পাঠাচ্ছে তারা। তারপর যাবতীয় টেস্টের খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।
ওঙ্কার সরকার