এ দিন মুখ্যমন্ত্রী হিসেব দেখিয়ে বলেন, "আমরা ৩৩ হাজার৩১৪ কোটি টাকা পাই। ড্যামেজর রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তবুও আমরা পাইনি। মমতা মনে করিয়ে দেন, দেশের জিডিপি এই মুহূর্তে - ৭.৭ শতাংশ। আর রাজ্যের জিডিপি এই মুহূর্তে +১.৭৫ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে মমতার ব্যাখ্যা, আমরা এগিয়ে আছি। এত অবহেলা করা সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে চলেছি।" মমতা রাজ্যের বিকাশের সাপেক্ষে কৃষি ও খাদ্যকে সবচেয়ে বেশি নম্বর দিলেন।
advertisement
রাজ্যের আগামী দিনের ফোকাস কী হবে সে ব্যাপারে মমতার ব্যাখ্যা, "দুয়ারে সরকারের নানা আবেদন এসেছে। আমরা বিষয়টা স্ক্রুটিনি করছি। যাদের এখনও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই তাঁরা করে নিন তাড়াতাড়ি। লক্ষীর ভান্ডার তাড়াতাড়ি চালু করে দেওয়া হবে।" উল্লেখ্য দুঃস্থ পরিবারের মেয়েদের সাহায্য করার জন্য এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ পরিবারের মেয়েরা মাসে ৫০০ টাকা, তফশিলি পরিবারের মেয়েরা এতে ১০০০ টাকা করে পাবেন মাসে। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যের বার্ষিক খরচ হবে ১১ হাজার কোটি টাকার মতো।
এ দিন বাজেটে মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কর্মসংস্থানের উপর জোর দেওয়ার কথাও বলেছেন বাজেট পড়ার সময়ে।। কিন্তু কোন পথে গেলে কাজ পাওয়া যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যায়, দেউচা পাঁচামি প্রকল্প চালু হয়ে গেলে অন্তত ১ লক্ষ মানুষ কাজ পাবেন সেখানেই। এছাড়া সিলিকন ভ্যালিতে ও বিনিয়োগ হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
গত ৩০ শে জুন থেকে রাজ্যের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু হয়েছে। আজকের বক্তৃতায় সেই প্রসঙ্গ তুলে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, আগামী দিনে এই বিষয়টিকে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
শাসকদল পেট্রোপণ্য ইস্যুতে লাগাতার কেন্দ্র বিরোধিতা করে আসছে। আজ মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও সেই একই সুর শোনা গেল। ক্ষুব্ধ মমতা বললেন, "পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়লে হেঁশেলে প্রভাব পড়ে৷ ওঁরা আয় করে এই থেকে। ৩ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা ইনকাম করেছে ওরা৷ এত টাকা কোথায় গেল? এত টাকা বাড়লে মানুষের চলবে কী করে?"