উষসী ফেসবুকে লিখলেন, ‘অনেকেই সকাল থেকে বার বার ফোন করে খোঁজ নিচ্ছেন ধরতে পারিনি তাই জানাচ্ছি আমার বাবা শ্রী শ্যামল চক্রবর্তী কাল থেকে নর্থ সিটি হাসপাতালে ভর্তি। কোভিড কিনা জানা যায়নি, কারণ টেস্ট কাল হবে। তবে যেহেতু ওঁর ফুসফুসের সংক্রমণ রয়েছে (যেটা ওঁর এর আগে অনেক বারই হয়েছে) তাই বর্তমান চিকিতসা প্রটোকল অনুসারে ওঁকে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভোগা অন্য রুগীদের সাথে একই ফ্লোরে রাখা হয়েছে।তাঁদের মধ্যে কোভিড পেশেন্ট ও আছেন। যদিও বাবার কেবিন আলাদা তবুও যেহেতু একই মেডিকেল ও নার্সিং স্টাফ ওঁর দেখাশোনা করছেন তাই ওঁর হাসপাতাল বাহিত কোভিড হওয়ার সম্ভবনা বাতিল করা যাচ্ছে না। যাই হোক, এ নিয়ে অভিযোগ করে তো লাভ নেই। বর্তমান সময়ে লোকে যখন অক্সিজেনের অভাবে স্রেফ মরে যাচ্ছে সেখানে উনি অন্তত একটা আলাদা কেবিন পেয়েছেন এটাই যথেষ্ট।
advertisement
আমার বাবা হোলটাইমার। বাবার সূত্রে টাকা পয়সা বিষয় আশয় কিছুই আমি পাইনি। মা যেহেতু পরিবারের একমাত্র রোজেগেরে মানুষ ছিলেন উনি চলে যাবার পর বাবা বহু কষ্টেই আমায় মানুষ করেছেন। আমি সরকারি স্কুলে লেখাপড়া করতাম সেখানে মাইনে ছিল সাড়ে আট টাকা। লেখাপড়ায় খারাপ ছিলাম না তাই উচ্চশিক্ষায় অসুবিধা হয়নি। বাবার খুব ইচ্ছে ছিল মেয়ে যতই অভিনয় করুক পি এইচ ডি যেন complete করে। আগামী ১২ august আমার পি এইচ ডি-র pre submission .
যাই হোক, যেটা বলার সেটা হল বাবার কাছ থেকে টাকা পয়সা বিষয় আশয় কিছু না পেলেও যেটা পেয়েছি বলা ভাল ইনহেরিট করেছি সেটা হল ওঁর লড়াই করার ক্ষমতা। Fighting Spirit. সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জেদ আর কোনও কিছু একবার শুরু করলে শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া –হাল না ছাড়া।
উনি এখন লড়াই করছেন। আমার ধারণা ওঁর fighting spirit যা আমি জন্মসূত্রে inherite করেছি, ওঁর কাছ থেকেই পেয়েছি তা ওঁকে এই যুদ্ধেও হারতে দেবে না।
Isolation ward এ ঢোকা যায় না- তাই দূর থেকে বলছি ফাইট বাবা ফাইট। যাই হয়ে যাক তুমি হাল ছেড়ো না।
পুনশ্চঃ শুভানুধ্যায়ী অনুরাগীরা দুশ্চিন্তা করবেন জানি। বিনীত অনুরোধ ওঁকে সরাসরি ফোন করবেন না। ওঁর বেশি কথা বলা বারণ কষ্ট বাড়বে। অক্সিজেন চললে ফোন ধরতেও পারবেন না। আমি এখানেই update দেব। যাঁরা সুদীপদা বা বিপুলদাকে শতরূপ বা প্রশান্ত নন্দী চৌধুরি কে চেনেন ওঁদের কাছ থেক জেনে নেবেন বাকিটা।’
