দীর্ঘদিনের সাহিত্য-সঙ্গী সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্য়ায় খবরটা শোনার পর থেকেই কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন। কিছুদিন আগেই শঙ্খ ঘোষের বাড়িতে ফোন করেছিলেন তিনি। কবি-কন্যার সঙ্গে কথা হয় তাঁর। একে বয়স, সেইসঙ্গে করোনার কোপ। দুশ্চিন্তা থামছিল না। অবশেষে দুশ্চিন্তা পেরিয়ে এবার শোক এল মনে। শীর্ষেন্দুর কথায়, 'আজ আমার মনে হচ্ছে, মাথার উপর থেকে কেউ যেন ছাদটা সরিয়ে নিয়ে গেল। আশঙ্কা করছিলাম, সেটাই মিলে গেল।' তাঁর সংযোজন, 'কখনও কোনওদিন রাগতে দেখিনি। এত খ্যাতি, এত সম্মানেও তাঁকে ছিঁটেফোঁটা অহঙ্কারও স্পর্শ করতে পারেনি। আমরা অভিভাবকহীন হলাম।'
advertisement
দীর্ঘ ৪৫ বছরের যোগাযোগ। কবি জয় গোস্বামী যেন কিছুতেই মানতে পারছেন না শঙ্খ-বিয়োগ। তাঁর কথায়, 'শুধু তো কবি নয়, তিনি আসলে ছিলেন জাতির বিবেক। এক মহাবটবৃক্ষের পতন হল আজ। অসহায় লাগছে। শোকে যেন ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। ৪৫ বছরের যোগাযোগ এক মুহুর্তে শেষ হয়ে গেল।'
নাট্য়ব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, 'এ এক অপূরণীয় ক্ষতি। সাহিত্য শুধু নয়, আমাদের সকলকে যেন পথ দেখাতেন শঙ্খ ঘোষ। তাঁকে কেনা যায়নি, তাঁকে রোখা যায়নি। তাঁর কলম, তাঁর স্বর বিক্রি হয়ে যায়নি কখনও। তিনিই ছিলেন প্রকৃত অনুপ্রেরণা।'
অপর নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন বলছেন, 'এমন এক ক্ষতি হল আমাদের সকলের, যা কোনওভাবেই পূরণ করা যাবে না। আজও না, একশো বছর পরেও না। অপূরণীয় এক ক্ষতি শঙ্খ ঘোষের চলে যাওয়া।'