কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে ভিস্তারার একটি উড়ান মুম্বই থেকে কলকাতা আসছিল। কলকাতা বিমানবন্দরের মাটি ছোঁওয়ার আগেই কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। বিমান ঝড়ের কবলে পড়াতেই প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে নাজেহাল অবস্থা হয় যাত্রীদের। অনেকেই ছিটকে এ-দিক ও-দিক চলে যান। জখমও হন কয়েক জন। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য নিরাপদেই কলকাতার মাটি ছোঁয় বিমানটি। তবে প্রবল ঝাঁকুনিতে জখম হন অন্তত পাঁচ জন। এর মধ্যে সুদীপ রায় (৩৬), অনিতা অগরওয়াল (৬১) এবং তিমির বরণ দাসের আঘাত গুরুতর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়াও জখম হন আরও দু'জন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেকেই মাথায় আঘাত পেয়েছেন। এর মধ্যে দু'জনের মাথা ফেটেও গিয়েছে। ভিস্তারার ওই উড়ানটির কলকাতায় নামার কথা ছিল বিকেল ৪টে ২২ মিনিটে ৷ আর আকাশে ঘটনাটি ঘটেছে বিকেল ৪টে থেকে ৪টে ৫ মিনিটের মধ্যে ৷
advertisement
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির ফলেই বিমানটি মাটি ছোঁওয়ার আগে বেশ কয়েকবার ঝাঁকুনি হয়। আর তাতেই এই বিপত্তি বাধে। দুর্ঘটনার সময়ে বিমানটি প্রায় ৭০ নটিকাল মাইল দূরে ছিল। তবে বিমানবন্দরের এক কর্তা বলেন, "প্রাথমিক ভাবে খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিস্তারিত তদন্তে সব রকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসি ওই সময়ে কী সঙ্কেত দিয়েছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও। ল্যান্ডিংয়ের ঠিক আগে বিমানের গতিবেগ ঠিক ছিল কি না, অভিমুখই বা কোন দিকে ছিল, দেখা হচ্ছে তা-ও।"
শালিনী দত্ত
