এ দিনই শান্তনু সেন এবং আরাবুল ইসলামকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়েছে তৃণমূল৷ আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই শান্তনুকে দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল৷ শান্তনু অবশ্য পাল্টা দাবি করেছেন, আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি এবং অনিয়ম নিয়ে অনেক দিন আগেই দলীয় নেতৃত্বকে সবিস্তারে জানিয়েছিলেন তিনি৷ যে কারণে হুমকি এবং মানসিক নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁর মে়ডিক্যাল পাঠরতা কন্যাকেও৷
advertisement
আরও পড়ুন: কাঁটাতার দিতে ফের বাধা, এবার ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন গ্রামবাসীরাই! মেখলিগঞ্জে হাওয়া বুঝে ফিরে গেল বিজিবি
শান্তনু সেন বলেন, ‘দেড় দু বছর আগেই রোগী কল্যাণ সমিতিতে কাজ করতে গিয়ে সন্দীপ ঘোষের যে সমস্ত দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছিলাম, চুপচাপ আমি সেই সমস্ত কাগজপত্র যেখানে জমা দেওয়ার জমা দিয়ে এসেছিলাম৷ তার জন্য আমার পরিবারের উপর, আমার কন্যার উপরে যে যে মানসিক নির্যাতন চলেছে, আমি দলের স্বার্থে কোনওদিন কোথাও জানাইনি৷ রাত সাড়ে বারোটার সময় আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া আশিস পাণ্ডে ফোন করে আমার মেয়েকে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে৷ আমার মেয়েকে ফেল করানোর জন্য সন্দীপ ঘোষ খাতা চেয়ে পাঠিয়েছে৷’
ক্ষোভের সঙ্গেই রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ আরও বলেন, ‘আরজি কর আন্দোলন চলাকালীন আমার গায়ে তৃণমূলের জামা ছিল বলে হাসপাতালেই আমায় গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়েছে৷ টিভি চ্যানেলে বসে দলের হয়ে গলা ফাটিয়েছি৷ আমি নাকি আরজি কর আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছি বলে দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ গিয়েছে, এত বড় স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন একা কেউ করাতে পারে? যেখানে যেটুকু কাজ করেছি, দল এবং সরকারের ভালর জন্য কাজ করেছি৷ আমার বাড়িতে তো ইডি, সিবিআই ১৭-১৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায়নি৷ এখনও আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি৷ তাহলে দল বিরোধী কোন কাজটা করলাম? তৃণমূল বিধায়ক এবং চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে শান্তনুর৷ আরজি কর কাণ্ডের পর সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি, নার্সিং হোমে একাধিক বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশিও হয়েছে৷ সাসপেন্ড হওয়ার পর শান্তনু কি দলীয় নেতৃত্বকে সেকথাই মনে করিয়ে দিলেন?’
শান্তনু বলেন, ‘আমার নেত্রী, আমার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বা রাজ্য সভাপতি যখন যা দায়িত্ব দিয়েছেন, সব নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি৷ স্থানীয় সাংসদ যা বলেছেন সেই কাজও করেছি৷ আপনার মেয়ের উপরে মানসিক নির্যাতন হওয়া সত্ত্বেও কোথাও আমি মুখ খুলিনি৷ তার পর দেখসাম, দল করি বলে আমার কথা শুনতে হচ্ছে৷ আবারও দলনেত্রীর কাছেও আমার সম্পর্কে ভুল বোঝান হচ্ছে৷’