প্রথম অভিযোগটা তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আরএসএস-এর অনুষ্ঠানে বিএসএফের প্রাক্তন ডিজি কে কে শর্মার উপস্থিতির ছবি জমা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশনে। ২৪ ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে কে কে শর্মার নিয়োগ বাতিল করে কমিশন। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন আইপিএস অফিসার বিবেক দুবেকে। কে এই বিবেক দুবে ?
advertisement
১৯৮১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার বিবেক দুবে। ২০১৫-তে অন্ধ্রপ্রদেশের এডিজি ওয়েলফেয়ার হিসেবে অবসর নেন। সিবিআইয়ে থাকাকালীন তিনি বিলকিস বানো মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। বিবেকের নেতৃত্বে সিবিআই তদন্তে ১১ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর হিসেবে আবু সালেমের প্রত্যর্পণেও নাকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এই দুঁদে আইপিএস।
কে এই বিবেক দুবে?
- ১৯৮১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার
- ২০১৫-য় অন্ধ্রের এডিজি (ওয়েলফেয়ার) হিসেবে অবসর
- সিবিআইয়ে থাকাকালীন বিলকিস বানো মামলার তদন্তের দায়িত্বে
- বিবেকের নেতৃত্বে সিবিআই তদন্তে ১১ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত
- আবু সালেমের প্রত্যর্পণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গুজরাতে মোদি-শাহের গড়েই নিরপেক্ষ তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিবেক দুবে। তাঁর টিমের পেশ করা চার্জশিটে গুজরাত প্রশাসনের দিকেই আঙুল উঠেছিল। আঙুল উঠেছিল গুজরাতের সেসময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকেও। পেশাগত জীবনে তিনি বারে বারে স্বীকার করেছেন, বিলকিস বানো মামলার তদন্তে বাজপেয়ী নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের পূর্ণ সমর্থন পাওয়ার কথা। সেই আইপিএস দুবেই ভোটের আগে বাংলায় বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে।