মোবাইল ইউটিএস মেশিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা জেনে নিন
সুবিধাজনক স্থানে স্থাপিত এই মোবাইল ইউটিএস মেশিনগুলির মাধ্যমে যাত্রীদের, বিশেষত প্রবীণ নাগরিক, অসুস্থ, মহিলা ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের, আর টিকিট কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে না।
এই মেশিনগুলো টিকিটিং প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় করায় রেলকর্মীদের উপর চাপ কমে এবং নিরাপত্তা ও সময়নিষ্ঠতা রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে তাদের নিযুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।
advertisement
এই মেশিনগুলো যেকোনও প্রয়োজনে সহজে স্থানান্তরযোগ্য হওয়ায় বেশি ভিড় হয় এমন জায়গায় সহজেই মোতায়েন করা যায়।
অতিরিক্ত টিকিটিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে যাত্রীদের সমভাবে বিতরণে সাহায্য করে।
বিকেন্দ্রীকৃত টিকিটিং ব্যবস্থার ফলে দ্রুত সেবা প্রদান সম্ভব হয়, যার ফলে যাত্রীরা অপেক্ষা না করেই দ্রুত টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন।
শিয়ালদহের মতো ব্যস্ত স্টেশনে এটি যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করছে।
এছাড়াও, মোবাইল ইউটিএস মেশিনগুলো রিয়েল-টাইমে টিকিট বিক্রির তথ্য সরবরাহ করে, যা যাত্রী চলাচল বিশ্লেষণে ও পরিষেবা পরিকল্পনায় সাহায্য করে। রেলকর্মীদের মাধ্যমে এই সেবা স্টেশন প্রাঙ্গণে দেওয়া হচ্ছে এবং যাত্রীদের এই সুবিধা গ্রহণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই নতুন উদ্যোগ ইতিমধ্যে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। গত তিন দিনে মোট ৯৫২ জন যাত্রী মোবাইল ইউটিএস পরিষেবা ব্যবহার করেছেন এবং ২৬,৩০৫ টাকা সংগৃহীত হয়েছে। এই তথ্য থেকে পরিষ্কার যে যাত্রীদের কাছে এই সেবা কার্যকর ও সুবিধাজনক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। শ্রী রাজীব সাক্সেনা, ডিআরএম/শিয়ালদহ বলেন, ‘প্রযুক্তিনির্ভর এই অগ্রগামী পদক্ষেপ শিয়ালদহ বিভাগের যাত্রীবান্ধব ও ভবিষ্যতমুখী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন, যার মাধ্যমে একটি আরও আরামদায়ক ও কার্যকর যাত্রাপথ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’