এ দিন প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি পাঠের পর এই আসরে নামেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ট্যুইটারে কুণাল ঘোষ লেখেন, "মাতঙ্গিনী হাজরা অসমের! প্রধানমন্ত্রী কি পাগল হলেন! নিজে জানেন না। আবেগ নেই। অন্যের লিখে দেওয়া ভাষণ পড়ে নাটক করতে গেলে এই হয়। এটা বাংলার প্রতি অপমান। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চান। ওদের পূর্ব মেদিনীপুরের গদ্দারও ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিন।"
advertisement
বলাই বাহুল্য বীর শহীদ মাতঙ্গিনী মাতৃভূমি যেহেতু অবিভক্ত মেদিনীপুর তাই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে টেনে আনছেন কুণাল ঘোষ। শুভেন্দ কে আক্রমণ করার আরেকটি বড় কারণ , গোটা ভোট পর্বে শুভেন্দু অধিকারী বারংবার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আবেগকে প্রাধান্য দিয়েছেন, সেই আবেগকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এখন ভোটপর্ব শেষ, নতুন লড়াইয়ের ওয়ার্ম আপ করছে তৃণমূল। আর ঠিক এই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর এই ভুলকেই হাতিয়ার করতে তাই শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড়ছেন না কুনাল ঘোষ।
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, "এটা ছোটখাটো ভুল। ভারতবর্ষে হাজার হাজার এরকম মহাপুরুষ এসেছেন। তাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন কোনও কারণে ছোটখাটো ভুল হতেই পারে। তাই এটাকে বড় করে দেখার দরকার নেই। এ নিয়ে যারা এত কষ্ট পাচ্ছেন তারা মাতঙ্গিনী হাজরার জন্য কী করেছেন?"
সামান্য ভুল শব্দটির সঙ্গে রাজ্যের মানুষের পরিচয়ের দীর্ঘসূত্রিতা আছে। সেই পরিচয় আজ নতুন মাত্রা পাচ্ছে মাতঙ্গিনী কাণ্ডে। ১৬ আগস্ট খেলা হবে দিবস পালনের বিরোধিতা প্রথম থেকেই করে আসছিল বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেরুকরণের আঁচ পেয়ে কোনও রকম সুযোগ না দিয়ে আগেভাগেই এই দিনটিকে খেলা হবে দিবসের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। বিজেপি পাল্টা আশীর্বাদ যাত্রা নামক কর্মসূচি পরিকল্পনা করে। পরে তা বদলে ফেলা হয় শহিদ সম্মান যাত্রা নামে। কিন্তু তার আগেই এমন ঘটনা রাজ্য বিজেপিকে যে অস্বস্তিতেই ফেলল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।