গতকাল, পুলিশের কাছে আগে থেকে খবর ছিল, চোরাই ভাবে ফেনসিডিল নামে কাশির সিরাপ পাচার হচ্ছে। ফেনসিডিল সিরাপ এই ভাবে নিয়ে যাওয়াটা একেবারে বেআইনি। কাল অন্ডালের কাছে দিল্লি রোডের উপর একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে একটি ফেনসিডিল বোঝায় লরি দাঁড়িয়ে ছিল। গোয়েন্দাদের কাছে আগে থেকে খবর ছিল। তারা লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করে। দীপু সিং, ধীরেন্দ্র প্রতাপ ও ভানুপ্রতাপ সিং নামে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে এস টি এফ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে ফেনসিডিল ভর্তি ওই লরি উত্তরপ্রদেশের অগ্রার দিক থেকে নদীয়া ও মুর্শিদাবাদের সীমান্তের দিকে আসছিল। ওই লরি থেকে দশ হাজার ফেনসিডিলের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য বেশ কয়েক লক্ষ টাকা।
advertisement
ফেনসিডিল কাশির সিরাপ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই সিরাপের উপাদানের মধ্যে কোডিন ফসফেট রয়েছে। যা মানব শরীরে ঝিমুনির সৃষ্টি করে। এই সিরাপের একটি বোতল কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হয় বাংলাদেশে। ভারতের সীমান্ত এলাকায় এই সিরাপ নেশার জন্য ব্যবহৃত হয়। সব চেয়ে বেশি ব্যবহার হয় বাংলাদেশে। যার জন্য একটা বড় চক্র এই ফেনসিডিল বাংলাদেশে পাচার করে। তবুও সরকারি নজর এড়িয়ে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে এই নেশার ওষুধ। ফেনসিডিল যে লরিতে আসছিল, সেটার 'রোড ওয়ে' বিল কার নামে ছিল, সেটা জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা। এই ভাবে কতদিন ধরে আসছে? ওই তিনজনকে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের মূল পাণ্ডাদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছতে চাইছে এসটিএফ-এর গোয়েন্দারা।
SHANKU SANTRA