শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার পর পার্থকে রাখা হয়েছিল পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে৷ ছোট্ট সেই সেলে নিয়ম মতো রাতে শোয়ার জন্য চারটি কম্বল পেয়েছিলেন পার্থ৷ কিন্তু প্রত্যাশিত ভাবেই রাতে সেই বিছানায় শুয়ে ঘুম আসেনি প্রাক্তন মন্ত্রীর৷ আর জেল সূত্রে এবার জানা যাচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পা ফোলার সম্যসা বাড়ছে। সেই দিকে নজর রাখছেন জেলের ডাক্তাররা। এখনই তাকে জেল হাসপাতালে রাখার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে সেন্সর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের!
জেল সূত্রের খবর, স্থূলতার কারণেই মাটিতেও বসা কষ্টকর পার্থর পক্ষে৷ অথচ সেলে খাট তো দূরে থাক, কোনও চেয়ারও ছিল না৷ কিন্তু সেলের শৌচাগারে ছিল কমোড৷ সূত্রের খবর, জেলবাসের প্রথম রাতের বাকি সময়টুকু সেই কমোডের উপরে বসেই কাটাতে হয় একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ মন্ত্রীকে৷ সেই সূত্রেও তাঁর পা ফোলা বাড়তে পারে বলে অনুমান চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুন: কেন এমন মারাত্মক ঘটনা ঘটালেন? পুলিশের গাড়িতেই জানিয়ে দিলেন জাদুঘরের সেই জওয়ান
শনিবার খাটের জন্য জেল কর্তৃপক্ষের কাছে কার্যত অনুনয় বিনয় করেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷ সকালে প্রাতঃরাশে চা এবং পাউরুটি খান তিনি৷ দুপুরে ভাত খাওয়া পছন্দ নয় পার্থর৷ তাই দুপুরেও চা- পাউরুটিই চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি৷
জেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সকালে প্রাতঃরাশ সেরে একবারই সেলের বাইরে এসেছিলেন তিনি৷ হেঁটে গিয়ে নিজের আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করেন৷ এর পর জেলের চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করতে আসেন৷ তখনই রাতে ঘুমোতে না পারার কথা চিকিৎসকদের জানান পার্থ৷ বলা ভাল, বিনিদ্র রাতের বর্ণনা দিয়ে তাঁকে খাট দেওয়ার জন্য কার্যত কাতর আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ এর পরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে চিকিৎসকদের পরামর্শেই তাঁকে খাট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেল কর্তৃপক্ষ৷ তবে, পা ফুললেও এখনই তাঁকে জেল হাসপাতালে রাখার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
---সৌরভ তিওয়ারি