কল্যাণীর কাছে লাইনে কাজ করছিলেন শিয়ালদহ ডিভিশনের সিগন্যাল কন্সট্রাকশন বিভাগের কর্মী অশোক বিশ্বাস৷ বছর ৪৫ সিনিয়র টেকনিশিয়ান লাইনে সিগন্যাল সমীক্ষার কাজ করছিলেন৷ সেই সময় ওই লাইন দিয়েই যাচ্ছিল শিয়ালদহ ডিভিশনের ইন্সপেকশন কার৷ রেল সূত্রে খবর, এ ডি আর এম শিয়ালদহ যাচ্ছিলেন কৃষ্ণনগর সেকশন পরিদর্শনে। আর তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। যার জেরে কার্যত লাইনে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকে অশোক বাবুর দেহ। রেল কর্মীদের অভিযোগ দেহ দেখেই বোঝা যাচ্ছে আঘাতের তীব্রতা কতটা ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন - Cyclone Asani Update: গিরগিটির মতো রঙ বদলাচ্ছে, ১২৫ কিমি/ঘণ্টা গতিতে হাওয়া, লণ্ডভণ্ড হবে যে পাঁচ রাজ্য
গোটা বিষয়টি মোটরম্যান বা অন্যান্য রেল কর্মীদের নজরে আসেনি এটা ভাবা ভুল। তার পরেও ট্রেন না থামায় ক্ষুব্ধ রেল কর্মীরা। রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষের অভিযোগ, একটা রেল কর্মী রেলের ইন্সপেকশন কারেই কাটা পড়ছে। সেটা দেখেও বা জেনেও কার না থামানোটা একটা অমানবিক আচরণ৷ বিশেষ করে যখন সিনিয়র আধিকারিকরা ছিলেন ট্রেনে। অন্যদিকে রেল ইউনিয়নের অভিযোগ, সাধারণত সিনিয়র টেকনিশিয়ানের সাথে একজন কর্মী থাকার কথা৷ কারণ ওই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছিল। সেদিন সিনিয়র টেকনিশিয়ানের সাথে কোনও সহযোগী কর্মী ছিল না।
এর আগেও একাধিকবার রেল কর্মীদের প্রতি বিরুপ আচরণের অভিযোগ এসেছে। শিয়ালদহ নারকেলডাঙা কারশেডে তড়িদাহত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। শ্রীরামপুরে টাওয়ার ভ্যান দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন রেল কর্মী। এই সব ক্ষেত্রেই যথেষ্ট উদাসীন রেল আধিকারিকরা বলে অভিযোগ। তবে শুক্রবার ওই ট্রেনে ডি আর এম ছিলেন না বলেই রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। এডিআরএম, সিনিয়র ডিএসটি, সিনিয়র ডিএমসি ও অন্যান্য আধিকারিকরা ছিলেন। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা৷ শীঘ্রই সমস্ত ক্ষতিপূরণ ও পোষ্যের চাকরির ব্যবস্থা রেল করে দেবে। আধিকারিকদের নজরে সেদিন তৎক্ষণাৎ ঘটনাটি আসেনি৷ তাই ইন্সপেকশন কার থামানো যায়নি৷
ABIR GHOSHAL