শিয়ালদহ আদালতের কাছে উড়ালপুলের নীচে একটি বুড়িকে এরকমই অবস্থায় দেখা গেল। সে বুড়ি কিছুক্ষণ হাঁটলেই দু’টি হাঁটু ধরে বসে পড়ছে। বোঝা গেল, তাঁর বয়সের ভার এবং প্রতিদিন শারীরিক খাটনি ঠিকমতো নিতে পারছে না। এই বুড়ি প্রতিদিনই আসে শিয়ালদহতে। নাম গৌরী বিশ্বাস। বয়স ৮০ বছর পেরিয়েছে বলে তার দাবি। স্বামী বহুদিন আগে গত হয়েছেন। এক মেয়ে ছিল। সে বিয়ে করে সবিতা তেওয়ারি হয়ে গেছে। মাকে আর দেখতে আসে না।
advertisement
বুড়ি ক্যানিংয়ের ঘোষপাড়ায় এক আত্মীয়র বাড়িতে থাকে। গৌরীর দাবি, বেশ কিছুদিন আগে তাঁর ভোটার কার্ড কোনও ভাবে খোয়া যায়। তারপর থানায় গিয়েছিলেন। থানা তাঁর সঙ্গে সেই রকম সহায়তা করেনি বলে অভিযোগ। যার ফলে তিনি বিধবা ভাতা থেকে আরম্ভ করে বার্ধক্য ভাতা, এছাড়াও কন্যাশ্রী থেকে আরম্ভ করে কোনও কিছুই সরকারি সুবিধা পান না। তাই কলকাতার রাস্তায় তিনি ভিক্ষে করে বেড়ান।
সন্ধ্যা হলে শিয়ালদাহ স্টেশনের কোনও এক জায়গায় ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। কিছু খাবেন নাকি? জিজ্ঞাসা করতেই ছোট্ট একটা প্লাস্টিকের কৌটা হাতে দিয়ে বললেন, ‘দুটো কচুরি দিয়ে দাও বাবা’। তাঁর আকুতি, ‘বাবা,যদি সরকারি কিছু সাহায্য পাই। তার ব্যবস্থা করে দিলে খুব সুবিধা হয়। না হলে এই শরীর নিয়ে আর চলে না।’ এই বিষয়ে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই বৃদ্ধা বাড়িতে যাওয়ার পর, একবার তাঁকে জানাতে। তাহলে তিনি তাণকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।