TRENDING:

Sealdah Old Woman: যুগ বদলায়, তবু বনফুলের সেই 'বুড়িটা' আজও থলে হাতে দু'টি টাকা আর কচুড়ির সন্ধানে শিয়ালদহে

Last Updated:

Sealdah Station: ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই বৃদ্ধা বাড়িতে যাওয়ার পর, একবার তাঁকে জানাতে। তাহলে তিনি তাণকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: বনফুলের সেই বিখ্যাত ছোট গল্প ‘বুড়িটা’। যেখানে বনফুল লিখেছিলেন, তাঁর কাছে রোজ একটি বুড়ি পয়সা চাইতে আসত। তিনি প্রতিদিনই তাঁকে পয়সা দিতেন। একটা সময় সেই বুড়ি আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। বেশ কিছুদিন বাদে ঠিক ওই রকমই আর এক বুড়ি তাঁর কাছে ভিক্ষে চাইতে এসেছিল। লেখক বনফুল তার গল্পের বুড়িটাকে ‘পার্মানেন্ট পাওনাদার’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন। ওই বুড়ির বেশ কিছুদিন পরে যখন আরেকটা বুড়ি এসে ভিক্ষে চাইল। লেখক গল্পে  বুঝিয়েছিলেন যে,আজ একটা বুড়ি চলে যাবে। কালকে আর একটা বুড়ি আসবে।
যুগ বদলায়, তবু বনফুলের সেই 'বুড়িটা' আজও দু'টি টাকার সন্ধানে স্টেশনেই রাত কাটান
যুগ বদলায়, তবু বনফুলের সেই 'বুড়িটা' আজও দু'টি টাকার সন্ধানে স্টেশনেই রাত কাটান
advertisement

শিয়ালদহ আদালতের কাছে উড়ালপুলের নীচে একটি বুড়িকে এরকমই অবস্থায় দেখা গেল। সে বুড়ি কিছুক্ষণ হাঁটলেই দু’টি হাঁটু ধরে বসে পড়ছে। বোঝা গেল, তাঁর বয়সের ভার এবং প্রতিদিন শারীরিক খাটনি ঠিকমতো নিতে পারছে না। এই বুড়ি প্রতিদিনই আসে শিয়ালদহতে। নাম গৌরী বিশ্বাস। বয়স ৮০ বছর পেরিয়েছে বলে তার দাবি। স্বামী বহুদিন আগে গত হয়েছেন। এক মেয়ে ছিল। সে বিয়ে করে সবিতা তেওয়ারি হয়ে গেছে। মাকে আর দেখতে আসে না।

advertisement

বুড়ি ক্যানিংয়ের ঘোষপাড়ায় এক আত্মীয়র বাড়িতে থাকে। গৌরীর দাবি, বেশ কিছুদিন আগে তাঁর ভোটার কার্ড কোনও ভাবে খোয়া যায়। তারপর থানায় গিয়েছিলেন। থানা তাঁর সঙ্গে সেই রকম সহায়তা করেনি বলে অভিযোগ। যার ফলে তিনি বিধবা ভাতা থেকে আরম্ভ করে বার্ধক্য ভাতা, এছাড়াও কন্যাশ্রী থেকে আরম্ভ করে কোনও কিছুই সরকারি সুবিধা পান না। তাই কলকাতার রাস্তায় তিনি ভিক্ষে করে বেড়ান।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দিঘা যাওয়ার পথে থমকে দাঁড়াচ্ছেন পর্যটকরা! আচমকা আবার হলটা কী? কাতারে কাতারে মানুষ ছুটছে
আরও দেখুন

সন্ধ্যা হলে শিয়ালদাহ স্টেশনের কোনও এক জায়গায় ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।  কিছু খাবেন নাকি? জিজ্ঞাসা করতেই ছোট্ট একটা প্লাস্টিকের কৌটা হাতে দিয়ে বললেন, ‘দুটো কচুরি দিয়ে দাও বাবা’। তাঁর আকুতি, ‘বাবা,যদি সরকারি কিছু সাহায্য পাই। তার ব্যবস্থা করে দিলে খুব সুবিধা হয়। না হলে এই শরীর নিয়ে আর চলে না।’  এই বিষয়ে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই বৃদ্ধা বাড়িতে যাওয়ার পর, একবার তাঁকে জানাতে। তাহলে তিনি তাণকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Sealdah Old Woman: যুগ বদলায়, তবু বনফুলের সেই 'বুড়িটা' আজও থলে হাতে দু'টি টাকা আর কচুড়ির সন্ধানে শিয়ালদহে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল