ওড়িশায় কাজ করতে গিয়ে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ শুধু ওড়িশা নয়, অন্যান্য রাজ্য থেকেও বাঙালি হেনস্থার অভিযোগ উঠছে৷ ওড়িশায় গিয়ে হেনস্থার শিকার হওয়া বাঙালি শ্রমিকদের পক্ষ থেকেই কলকাতা হাইকোর্টে হিবিয়াস করপাস মামলা দায়ের করা হয়৷ রজ্জাক শেখ সহ বেশ কয়েকজন হেনস্থার শিকার হওয়া বেশ কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিক এই মামলা দায়ের করেন৷
advertisement
মামলাকারীদের আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী এজলাসে জানান, ২৯ তারিখ শ্রমিকদের আটক করা হয়। ৩০ জুন তাঁদের গ্রেফতার করে ওড়িশা পুলিশ। আর হাইকোর্টে মামলা দায়েরের পর ওড়িশা সরকারকে মামলার কপি ধরাতেই ৪ জুলাই পরিযায়ী শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের আইনজীবী আরও অভিযোগ করেন, বাংলা বলেই ওড়িশায় বাংলাদেশি হিসেবে দাগিয়ে দিয়ে মামলা করা হচ্ছে৷
রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যাোপাধ্যায়ও অভিযোগ করেন, বাংলা বললেই বাংলাদেশি হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা ছোট বিষয় নয়। গোটা দেশের ইস্যু এখন। কল্যাণ আরও বলেন, ওড়িশায় বাঙালিদের আটকে রাখা হচ্ছে৷ এই বিষয়ে আদালত বিশেষ নজর দিক। প্রায় ৪০০ বাঙালি ওড়িশায় আটকে রয়েছেন। সেই কারণেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন৷
যদিও ভার্চুয়াল শুনানিতে ওড়িশা সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল দাবি করেন, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। শুধুমাত্র ফরেনার্স আইনের ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী পদক্ষেপের প্রক্রিয়া হয়। তিনি আরও দাবি করেন, বাঙালিরা আমাদের প্রতিবেশী। আমাদের ভ্রাতৃসম। আমি বা আমরা কেন বাংলাভাষীদের নিয়ে অন্যরকম কিছু ভাবব। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যেমন ওড়িশাতে রয়েছেন তেমনি ওড়িশার বহু মানুষ পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন। ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি তো একজন বাঙালি।
সব শুনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওড়িশা সরকারের হলফনামা তলব করা হয়েছে৷ মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ অগাস্ট৷