TRENDING:

মুশকিল আশান! ‘ঠিকা কন্ট্রোলার’-এর নিয়ন্ত্রণ গেল পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের হাতে

Last Updated:

ইতিমধ্যেই ২০১৯ সালে আইন সংশোধনীর মাধ্যমে ঠিকা জমিতে বসবাসকারী টেন্যান্ট এবং ভাড়াটেরা (ঠিকা আইনে টেন্যান্ট ও ভাড়াটিয়াকে আলাদা পরিবার হিসাবে দেখানো হয়েছে) রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ‘ঠিক লিজ’ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: আবাসন নির্মাণে মানুষের হয়রানি বন্ধ করতে ঠিকা কন্ট্রোলারের নিয়ন্ত্রণ এ বার তুলে দেওয়া হল পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের হাতে। এতদিন এই সংক্রান্ত সমস্ত কাজই ছিল ভূমি ও রাজস্ব দফতরের হাতে। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
advertisement

ইতিমধ্যেই ২০১৯ সালে আইন সংশোধনীর মাধ্যমে ঠিকা জমিতে বসবাসকারী টেন্যান্ট এবং ভাড়াটেরা (ঠিকা আইনে টেন্যান্ট ও ভাড়াটিয়াকে আলাদা পরিবার হিসাবে দেখানো হয়েছে) রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ‘ঠিক লিজ’ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে তাঁরা নিজেদের ব্যবহৃত ঠিকা জমিতে এককভাবে অথবা যৌথভাবে নির্মাণ করতে পারবেন। এছাড়াও ঠিকা জমিতে গড়ে ওঠা বস্তি বা বাজারকেও পুরসভা এককভাবে বা যৌথভাবে উন্নয়নের নির্মাণ কাজ করতে পারে। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছিল রাজ্য সরকারের ভূমি ও রাজস্ব দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন ঠিকা কন্ট্রোলারের কাছ থেকে ‘ঠিকা লিজ’ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছিল। হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন ঠিকা প্রজা ও ভাড়াটেরা। ফলে বেআইনিভাবে ঠিকা জমিতে প্রজা ও ভারাটে নির্মাণ কাজ চলছিল। একে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল পুরসভা। শহরের বহু বাজার ও বস্তির উন্নয়নে নানা ক্ষেত্রেও কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই দীর্ঘসূত্রিতা। 

advertisement

আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের উদ্বোধনে হাওড়ায় মোদি! শুক্রবার আর কোথায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী? আজ নিরাপত্তা বৈঠকে SPG আধিকারিকরা

আরও পড়ুন: আজ শুরু TET ইন্টারভিউ! প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ 'বদল' আনল পর্ষদ, অবশ্যই জেনে নিন!

নবান্নর ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্তাদের কথায়, কলকাতা ও হাওড়া পুরসভা এলাকাতেই ঠিকা জমি রয়েছে। কলকাতা শহরে প্রায় দু’হাজার একর ঠিকা জমি রয়েছে। হাওড়া পুর এলাকাতেও প্রায় ৫১৭ একর ঠিকা জমি রয়েছে। জমিদারি উঠে যাওয়ার পর সেই সব ভাড়াটেকে রাজ্য সরকার ঠিকা টেনান্ট হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। একই সঙ্গে বাড়িতে ভাড়াটে বসানোর অধিকার দেওয়া হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঠিকা জমিতে বংশ পরম্পরায় বসবাস করেন। তাঁদেরকে বলা হয় ঠিকা প্রজা। তাঁদের অধীনে অনেক ভাড়াটে রয়েছে। পুরোনো জমিদাররা তাঁদের অধিকৃত জমিতে ঠিকা টেন্যান্ট হিসাবে কিছু মানুষকে বসবাস করতে দিয়েছিলেন। সেই জমিগুলিই হল ঠিকা জমি। ঠিকা টেন্যান্টরা আবার নিজেদের অংশে ভাড়াটে বসিয়েছেন। রাজ্য সরকার ১৯৮০ সালে এই সব ঠিকা জমি অধিগ্রহণ করে। ঠিকা প্রজার বসানো ভারাটের অধিকারও স্বার্থরক্ষা করা হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় আইনও দফায় দফায় সরকার সংশোধন করেছে। 

advertisement

এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভা এলাকাতে চল্লিশ হাজারের বেশি ঠিকা সম্পত্তি রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। যদিও নথিভুক্ত করেছেন মাত্র চার হাজার। হাওড়া পুর এলাকাতে এই সংখ্যাটাও প্রায় দশ হাজার। বহু জায়গায় ঠিকাজমিতে বাজার চলছে। রয়েছে বস্তিও। ঠিকা সম্পত্তি হওয়ার জন্য বহুতল নির্মাণের নামে বস্তিগুলির উন্নয়ন করে গরীব মানুষকে পুর্নবাসন দেওয়ার সরকারি কর্মসূচি রূপায়ণে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল।

advertisement

দফতর হাত বদলের ফলে আইনি প্রক্রিয়াটাই সহজ হবে। পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর ডেপুটি ঠিকা কন্ট্রোলারের অফিস করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভায়। হাওড়া পুরসভাতেও অনুরূপ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বহুতল বা যে কোনও নির্মাণের জন্য আইনি পথে ‘ঠিকা লিজ’ নেওয়ার জন্য ঠিকা প্রজা বা ঠিকা ভাড়াটেরা আবেদন জানাতে পারবেন। সব কিছু যাচাই করে সরাসরি ডেপুটি ঠিকা কন্টোলার তা পুর কমিশনার ও মেয়রকে জানিয়ে দিতে পারবেন। যাতে পুরসভা ঠিকা জমির সঠিক আইনি মিউটেশন, বাড়ি তৈরির নকশা ও অন্যান্য ছাড়পত্র দেওয়া সহজ হয়। এছাড়াও বহু জায়গায় ঠিকা প্রজার জমি পরে রয়েছে। যেখানে পুরসভা আইনিভাবে নাগরিক পরিষেবার জন্য উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিতে পারে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
মুশকিল আশান! ‘ঠিকা কন্ট্রোলার’-এর নিয়ন্ত্রণ গেল পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের হাতে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল