এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চন্দ্র বসু বলেছেন, ‘‘শরৎচন্দ্র বসু, আমার ঠাকুরদা এবং তাঁর ছোট ভাই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু৷ এই ‘বোস ব্রাদার্স’দের আদর্শই আমার আদর্শ৷ ওঁরা শিখিয়েছেন সব ধর্মের মানুষকে এক করে ভারতীয় করে তোলা৷ বিভাজনের রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে ওঁরা লড়াই করেছিলেন৷’’
আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া’ বনাম ‘ভারত’ নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
advertisement
শুধু মতাদর্শগত পার্থক্যই নয়, চন্দ্র বসুর গলায় আরও একাধিক বিষয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়েছে এদিন৷ নাড্ডাকে পাঠানো চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘মোদিজির নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েই ২০১৬ সালে বিজেপি-তে যোগদান করেছিলাম… তখন তো বটেই, এমনকি এখনও আমি চেয়েছিলাম বিজেপির মাধ্যমে শরৎচন্দ্র বসু ও সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক৷ তখন ঠিক হয়েছিল বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যেই আজাদ হিন্দ মোর্চা তৈরি হবে, যার মাধ্যমে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত ভারতীয়ের মধ্যে নেতাজির আদর্শ প্রচার করা হবে৷’
কিন্তু, চন্দ্র বসুর অভিযোগ, এবিষয়ে একাধিক বার নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও রকমের কোনও সাড়া তিনি পাননি৷ শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছাকাছি পৌঁছনোর জন্য দলের কাছে ‘বেঙ্গল স্ট্র্যাটেজি’ পাঠিয়েছিলেন তিনি৷ যেটা সম্পূর্ণ ভাবে অবহেলা করেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ অভিযোগ চন্দ্র বসুর৷
আরও পড়ুন: আরও বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল! ইডির আবেদনে সাড়া, আসানসোল থেকে গরু পাচার মামলা যাচ্ছে দিল্লি
এই পরিস্থিতিতে, বিজেপির সদস্য পদে থাকা তাঁর পক্ষে অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে বলে নাড্ডাকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি৷ পাশাপাশি, বিজেপি-কে আগামী দিনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর ঠাকুরদা শ্রী শরৎচন্দ্র বসুর ১৩৪ তম জন্মদিনের দিনটিতেই এই চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন নাড্ডার কাছে৷