এদিকে রাজনৈতিক মহলে এরপরেই শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা, মুকুল রায় হঠাৎ দিল্লি গেলেন কেন? মুকুল রায় অসুস্থ। তাঁর দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে পরিবারের কেউই কিছু জানেন না, এটা কি আদৌ সম্ভব?
advertisement
মুকুল রায়ের ভিডিওতে দেখা ও শোনা যাচ্ছে, তিনি বলছেন, প্রাক্তন সাংসদ, বর্তমান বিধায়ক হিসাবে কি তিনি দিল্লিতে আসতে পারেন না? তবে কি বিশেষ কাজে তিনি এসেছেন, জনৈক ব্যক্তি, কথা বলার মাঝে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, দিল্লি সফর নিয়ে কৌতুহল সূচক হাসি বজায় রেখেই বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে সওয়ার হন মুকুল রায়। আর এতেই জল্পনা তীব্র হয়েছে মুকুল রায়ের দিল্লি সফর ঘিরে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ৯'টা নাগাদ রটে যায়, খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না মুকুল রায়ের। তার পুত্র শুভ্রাংশু রায়, থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এমনটাও শোনা যায়৷ যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ যদিও কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি পৌঁছনোর পরে সেখানে তাঁর পুত্র শুভরাংশু এসেছিলেন৷ তবে গভীর রাতে পুনরায় এয়ারপোর্ট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বারবার নাটকীয় অবস্থা বা পট পরিবর্তন ঘিরে বিধায়ক মুকুল রায়কে নিয়ে রহস্য ক্রমশ বাড়তে থেকেছে।
গত মার্চ মাসে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছে মুকুল রায়ের। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে মাথায় ‘চিপ’ বসানো হয়েছে। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর থেকেই অন্তরালে রয়েছেন তিনি। সেই তিনি অসুস্থ অবস্থায় দিল্লি যাওয়ায় জল্পনা তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর ১১ জুন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে যান মুকুল ও তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু। পুরনো দলে ফিরে গেলেও আগের মতো আর রাজনীতিতে সক্রিয় নন তিনি। তৃণমূলে যোগদানের পর তাঁকে বিধানসভার ‘পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি’র চেয়ারম্যানও করা হয়েছিল। কিন্তু অল্প দিনেই সেই পদ ছেড়ে দেন তিনি। তার পর থেকেই অসুস্থতার কারণে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি মুকুলকে। যদিও মাঝে একবার তৃণমূলের অফিসে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকায় তাঁকে ঘিরে দানা বেঁধেছে কৌতুহল।