এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলার পর মিমি বলেন, ”আমি দুই দিন আগে আমার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দিদির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু উনি এখনও সেটা অ্যাকসেপ্ট করেননি। আমার যে অভিযোগ ছিল, সেটা আমি দিদিকে জানিয়েছি। দেখি উনি কী স্টেপ নেন। কাদের কাছ থেকে বাধা পেয়েছি, সেটা আমার দলের সুপ্রিমোকে জানিয়েছি।”
advertisement
আরও পড়ুন: ‘দিল্লিতে আসুন’, দেবকে ডেকে পাঠাল ইডি! ‘বড়’ দুর্নীতিতে তলব, ডাক আরেক TMC বিধায়ককেও
এখানেই থামেননি মিমি। তাঁর কথায়, ”রাজনীতি আমার জন্য না। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি যদি কিছু বাজে কাজ করতাম বা করেছি, তাহলে তো আপনারাই সবার আগে দেখাতেন। আমি নিজের দল তো ছেড়েই দিন, অন্য দলকে নিয়েও কখনও খারাপ কথা বলিনি। তাহলে আমাকে কেন এত খারাপ কথা শুনতে হবে। আমি দিল্লিতে থাকলে বলা হয় সাংসদ তো দিল্লিতেই থাকেন, আবার কলকাতায় থাকলে বলা হবে আমি তো দিল্লিতেই যাই না। তাহলে সাংসদ করে লাভ কী হল। আমি আজ কাজ গোনাতে আসি নি। আমার এমপি ল্যাড ইউটিলাইজেশনে কার নাম নাম্বার ওয়ান আছে দেখে নিন।”
আরও পড়ুন: ঝাঁটা হাতে মহিলারা, BJP-র বিক্ষোভে উত্তাল একের পর এক জেলা! জলকামান ছুঁড়ল পুলিশও
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, ”আমি আজ কাজ গোনাতে আসিনি। আমার এমপি ল্যাড ইউটিলাইজেশনে কার নাম নম্বর ওয়ান আছে দেখে নিন। যে দল আমাকে প্রার্থী করেছে তাই আমি দলের সুপ্রিমোকেই আগে জানিয়েছি। উনি অ্যাকসেপ্ট করলে আমি লোকসভার স্পিকার কে পাঠিয়ে দেব। দলের সদস্যপদ এখনও রয়েছে। আইনত রাজনীতি থেকে সরতে গেলে যা যা করার সেটা আমি করেছি। আমি প্রার্থী হতে চাই না।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সংসদের দু’টি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি। সংসদের শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি ও কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক এবং নবীন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রকের যৌথ কমিটির সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। যাদবপুর লোকসভা এলাকার নলমুড়ি এবং জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন পদ থেকেও সরে দাঁড়ান তিনি। তার পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। এবার তিনি যে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এবং আর প্রার্থীও হতে চান না, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন।