আরও পড়ুন: ভারত-বিদ্বেষের ফলে নয়া সঙ্কটে বাংলাদেশ! ইউরোপে ঢোকা বন্ধ হতে পারে, মাথায় হাত বাংলাদেশিদের
কলকাতার মেয়র অবশ্য বলছেন, কেন্দ্র ‘কালা’ হয়ে বসে আছে। তাই শহরের অস্তিত্ব বাঁচাতে নিজেরাই উদ্যোগ নিচ্ছেন।উত্তর কলকাতার বাজে কদমতলা ঘাটের বাঁ দিক থেকে সোজা প্রিন্সেপ ঘাট সংলগ্ন দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের নীচ পর্যন্ত গঙ্গা তীরবর্তী অংশে নারকেল গাছ বসানোর কাজ চলছে।গতিপথ বদলাচ্ছে কলকাতার গঙ্গা। সেই কারণে ভাঙনের ভ্রুকুটি দেখা দিয়েছে হাও়ড়ার বেলুড়ের দিকটায় অনেক পরিমাণে পলি পড়ে যাচ্ছে, ফলে গঙ্গা বিপরীত পারে অন্য পথে চলে যাচ্ছে। এটা খুবই বিপজ্জনক হচ্ছে বলেই মনে করছেন পুরসভার আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ফের বয়কট ভারত নীতি! যুদ্ধবিদ্ধস্ত এই দেশ থেকে ৫২,৫০০ টন গম কিনল ইউনূস সরকার
কলকাতার থেকে ফলতা পর্যন্ত গঙ্গা নিজের গতিপথ বদল করছে। ওপারে পলি পড়ে এ পারে গতিপথ বদল হচ্ছে। আর সেই ভাঙনের মোকাবিলা করতেই কলকাতার নদীর তীরে নারকেল গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে চারশো নারকেল গাছ বসানো হবে, সঙ্গে ভাঙ্গন রুখতে ম্যানগ্রোভ বসানো হচ্ছে। কলকাতায় নদী ভাঙনের প্রবণতা ভাবাচ্ছে কলকাতা পুরসভাকে। ইতিমধ্যে নদী ভাঙন রুখতে কলকাতা বন্দর কর্ত়ৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
পাশাপাশি, এই ভাঙনের মোকাবিলা করতে নিজেদের মতো করেও উদ্যোগী হচ্ছে পুরসভা।তাই উত্তর থেকে দক্ষিণ ভরসা সেই নারকেল গাছ আর ম্যানগ্রোভ। ফিরহাদ হাকিম, মেয়র জানিয়েছেন, “আমি নিজে একাধিক ঘাট পরিদর্শন করেছি৷ ভাঙ্গন নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান সব জানিয়েছি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষকে। যদিও বন্দর কার্যত কালা হয়ে বসে আছে৷ আমাদের কথা কানে তুলছে না।” বাজে কদমতলা ঘাট থেকে প্রিন্সেপ ঘাট অবধি এই নারকেল গাছ ও ম্যানগ্রোভ বসানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে।