তবে, কেন এত গুরুত্বপূর্ণ অফিসের মানচিত্র খুঁজে পাওয়া গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি, মৃতদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরির দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী রেলকেও ছেড়ে কথা বলেননি।
যে বহুতলে আগুন লেগেছে তার ১৩ তলায় পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মূল কার্যালয়। অগ্নিকাণ্ডের জেরে রেলের অনলাইন টিকিট বুকিং সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। এখনও তা কাজ করছে না। পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অনলাইন টিকিট বুকিংও বন্ধ রয়েছে। ঘটনার পর অবশ্য রেলের তরফ থেকে চার সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গোটা ঘটনায় অবশ্য রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঢিলেঢালা মনোভাবের অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেন্সিক দল। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করছেন, ঠিক কোথা থেকে প্রথম আগুন লাগল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হেয়ার স্ট্রিট থানার পক্ষ থেকে একাধিক ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার রাতের ঘটনায় যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই। এই ঘটনাতেও আলাদা তদন্ত করছে হেয়ার স্ট্রিট থানা।
সোমবার রাতের ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করেছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস। এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত, মুকুল রায়রা।