পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ জুন রাতে ওই ঘটনার পর প্রথমে নির্যাতিতা এবং তার পরে তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাউকে কিছু না জানানোর জন্য হুমকি দিতে শুরু করে মনোজিৎ৷ সেখানে থামেনি বেপরোয়া মনোজিৎ৷ অভিযোগ, নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের উপরে রীতিমতো নজরদারি চালাতে শুরু করে সে৷ নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কী করছেন, কার কাছে যাচ্ছেন- সবটা জানার চেষ্টায় ছিল মনোজিৎ ও তার দুই সহযোগী৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘দাদার নির্দেশেই সবকিছু…’নির্যাতনের পরেও কী মতলব ছিল মনোজিতের? ফাঁস করল দুই শাগরেদ
পরের দিন, অর্থাৎ ২৬ জুন একাধিকবার কসবা থানার আশেপাশে ঘুরে যায় মনোজিৎ৷ নির্যাতিতা অথবা তাঁর পরিবার থানায় আসছেন কি না, সে বিষয়েই নিশ্চিত হতে চেয়েছিল অভিযুক্ত৷ মনোজিতের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ৷
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, নির্যাতিতার পরিবারের উপরে এই নজরদারি চালাতে গিয়েই থানার মাত্র ৫০০ মিটার দূরে কসবার সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় শিশু উদ্যানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় মনোজিৎকে৷
আইন কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর কসবার থানার পক্ষ থেকে ছোট ছোট দলে পুলিশ কর্মীকে কাজে লাগানো হয়েছিল অভিযুক্তদের খুঁজে বার করার জন্য৷
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ হঠাৎই পুলিশকর্মীদের নজরে আসে মনোজিৎ ও জায়েব থানার কাছেই ওই শিশু উদ্যানের সামনে দাঁড়িয়ে৷ দু জনের ছবি দেখে চিহ্নিত করেই পুলিশ পাকড়াও করে তাদের থানায় নিয়ে যায়৷৷