পশ্চিমবঙ্গের রাজভবনেও বিশেষ স্ক্রিনিং এর আয়োজন করা হয় 'মন কি বাত'- এর। রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোসের উপস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে বসেই ১০০ তম পর্বটি শোনেন সেখানে আমন্ত্রিত সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্টজনেরা। প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাতের এর আগের নিরানব্বইটি পর্বে দেশের উন্নতিতে যারা যারা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন তাদের অনেকের নামই শোনা গিয়েছিল। এরাজ্যের সেই রকম অনেক বিশিষ্ট মানুষও আজ উপস্থিত ছিলেন আজকের এই অনুষ্ঠানে। সেই তালিকায় ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের বাসিন্দা মহম্মদ শহিদুল লস্কর।
advertisement
মন কি বাতের ৪৯ তম পর্বে তাঁর নাম উল্লেখ করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যাক্সি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা শহিদুল নিজের সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে অটুট থেকেছেন। নিজের এবং তাঁর স্ত্রীয়ের সারাজীবনের সঞ্চয় এবং অলঙ্কার সমস্ত কিছুর বিনিময়ে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি হাসপাতাল।
বিনা চিকিৎসায় হারাতে হয়েছিল তাঁর আদরের ছোট বোন মারুফাকে। বিনা চিকিৎসায় যেন আর কারও বোনকে চিরতরে বিদায় জানাতে না হয়, সেই ব্রত নিয়েই কার্যত অসম্ভব এক স্বপ্ন দেখেছিলেন শহিদুল। মনে মনে ঠিক করেছিলেন, গ্রামে হাসপাতাল গড়বেন। যেখানে বিনামূল্যে মিলবে স্বাস্থ্য পরিষেবা। দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে তার এই উদ্যোগ নজরে পড়েছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর।
এর আগে মন কি বাতের ৫০ তম পর্বের স্ক্রিনিং এ শামিল হতে দিল্লিও গিয়েছিলেন তিনি। আশা ছিল, প্রধানমন্ত্রীর দেখা পাবেন। তা না হওয়ায় আপাতত তিনি কিছুটা আশাহত। তাঁর দাবি, ১০০ তম পর্বের আগে তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁর কর্মকাণ্ডের ভিডিওগ্রাফিও করা হয় সরকারি তরফে। তাঁকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, গোটা পর্বে তাঁর বা তাঁর কাজের কোনও উল্লেখ না থাকায় কিছুটা ভেঙে পড়েন তিনি।
এরপর রাজ্যপালের তরফে বিশিষ্টজনদের সম্মাননা জ্ঞাপন করার সময়, তিনি সম্মান গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। সংবাদ মাধ্যমের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তাঁকে যা বলা হয়েছিল তার সাথে মূল অনুষ্ঠানের কোনও মিল না থাকায় তিনি আশাহত হয়েছেন। তাই সম্মান গ্রহণ করেননি। পরবর্তীকালে এই ধরনের কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে ডাকা হলে তিনি যাবেন কি না, তা পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।
