TRENDING:

Mann ki baat: প্রধানমন্ত্রীর মনের কথার শততম পর্বের পরেই কাটল তাল, রাজ্যপালের হাত থেকে সম্মান নিতে অস্বীকার ট্যাক্সি চালক শহিদুলের

Last Updated:

বিনা চিকিৎসায় হারাতে হয়েছিল তাঁর আদরের ছোট বোন মারুফাকে। বিনা চিকিৎসায় যেন আর কারও বোনকে চিরতরে বিদায় জানাতে না হয়, সেই ব্রত নিয়েই কার্যত অসম্ভব এক স্বপ্ন দেখেছিলেন শহিদুল। মনে মনে ঠিক করেছিলেন, গ্রামে হাসপাতাল গড়বেন। যেখানে বিনামূল্যে মিলবে স্বাস্থ্য পরিষেবা। দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে তার এই উদ্যোগ নজরে পড়েছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর কার্যকালে জনসংযোগের জন্য যে সমস্ত পন্থা অবলম্বন করেছেন, তাঁর মধ্যে তাঁর "মন কি বাত" অনুষ্ঠান অন্যতম। প্রসার ভারতীর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেতার সম্প্রচারে নিজের মনের কথা বলে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। সেই "মন কি বাত" এর একশততম পর্ব সম্প্রচারিত হল রবিবার। দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সকাল ১১টা থেকে এই বেতার সম্প্রচার শোনানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর মনের কথার ১০০ তম পর্ব বিভিন্ন ভাষার পাশাপশি শোনানো হয় সবকটি রাজ্যেই।
advertisement

পশ্চিমবঙ্গের রাজভবনেও বিশেষ স্ক্রিনিং এর আয়োজন করা হয় 'মন কি বাত'- এর। রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোসের উপস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে বসেই ১০০ তম পর্বটি শোনেন সেখানে আমন্ত্রিত সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্টজনেরা। প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাতের এর আগের নিরানব্বইটি পর্বে দেশের উন্নতিতে যারা যারা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন তাদের অনেকের নামই শোনা গিয়েছিল। এরাজ্যের সেই রকম অনেক বিশিষ্ট মানুষও আজ উপস্থিত ছিলেন আজকের এই অনুষ্ঠানে। সেই তালিকায় ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের বাসিন্দা মহম্মদ শহিদুল লস্কর।

advertisement

মন কি বাতের ৪৯ তম পর্বে তাঁর নাম উল্লেখ করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যাক্সি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা শহিদুল নিজের সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে অটুট থেকেছেন।  নিজের এবং তাঁর স্ত্রীয়ের সারাজীবনের সঞ্চয় এবং অলঙ্কার সমস্ত কিছুর বিনিময়ে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি হাসপাতাল।

advertisement

বিনা চিকিৎসায় হারাতে হয়েছিল তাঁর আদরের ছোট বোন মারুফাকে। বিনা চিকিৎসায় যেন আর কারও বোনকে চিরতরে বিদায় জানাতে না হয়, সেই ব্রত নিয়েই কার্যত অসম্ভব এক স্বপ্ন দেখেছিলেন শহিদুল। মনে মনে ঠিক করেছিলেন, গ্রামে হাসপাতাল গড়বেন। যেখানে বিনামূল্যে মিলবে স্বাস্থ্য পরিষেবা। দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে তার এই উদ্যোগ নজরে পড়েছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর।

advertisement

এর আগে মন কি বাতের ৫০ তম পর্বের স্ক্রিনিং এ শামিল হতে দিল্লিও গিয়েছিলেন তিনি। আশা ছিল, প্রধানমন্ত্রীর দেখা পাবেন। তা না হওয়ায় আপাতত তিনি কিছুটা আশাহত। তাঁর দাবি, ১০০ তম পর্বের আগে তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁর কর্মকাণ্ডের ভিডিওগ্রাফিও করা হয় সরকারি তরফে। তাঁকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, গোটা পর্বে তাঁর বা তাঁর কাজের কোনও উল্লেখ না থাকায় কিছুটা ভেঙে পড়েন তিনি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
আমেরিকার শুল্ক বাণে কাবু জেলার চিংড়ি চাষ! ভেড়িতে মড়ক, ব্যবসা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা
আরও দেখুন

এরপর রাজ্যপালের তরফে বিশিষ্টজনদের সম্মাননা জ্ঞাপন করার সময়, তিনি সম্মান গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। সংবাদ মাধ্যমের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তাঁকে যা বলা হয়েছিল তার সাথে মূল অনুষ্ঠানের কোনও মিল না থাকায় তিনি আশাহত হয়েছেন। তাই সম্মান গ্রহণ করেননি। পরবর্তীকালে এই ধরনের কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে ডাকা হলে তিনি যাবেন কি না, তা পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Mann ki baat: প্রধানমন্ত্রীর মনের কথার শততম পর্বের পরেই কাটল তাল, রাজ্যপালের হাত থেকে সম্মান নিতে অস্বীকার ট্যাক্সি চালক শহিদুলের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল