গত ৫ই জানুয়ারী অভিযোগ দায়ের করে ৷ তদন্তে ভরসা ছিল দোকানের সিসিটিভি ফুটেজের উপর। মালিকের বয়ান ও দোকানের কর্মচারীদের বয়ানের মধ্যে সন্দেহের তালিকায় ছিল দোকানের কর্মী সঞ্জীব চক্রবর্ত্তী। তাকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে সন্দেহ বাড়ে অফিসারের। সিসিটিভি ফুটেজ অনেকবার দেখার পরে সঞ্জীবের উপর সন্দেহ গাঢ় হয়। তার ব্যাক্তিগত জীবন ও বিগতদিনের বিভিন্ন কাজকর্মের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
advertisement
সঞ্জীবের বাড়িতে হানা দিয়ে সন্দেহজনক কিছু জিনিস পাওয়ার পর তাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তদন্তকারী অফিসার। অবশেষে সে স্বীকার করে চুরি করে সে তার বাড়িতে রেখেছে আংটি। তাও আবার লোক জনের থেকে আড়াল করে নয়, সবার মধ্যে এই ঔষুধের বাক্সে। পুলিশ বাড়িতে গিয়ে ঘরে সবার সামনেই রাখা হোমিওপ্যাথি ঔষুধের বাক্সে ঔষুধের সঙ্গেই পাওয়া যায় আংটি। তাকে আলিপুর কোর্টে পেশ করার পরে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে বাকি গহনার খোঁজ করা হয়।
তারপরেই পুলিশের কপালে হাত। সবই আছে তবে তার বাড়িতে নয়, ফিনান্স কোম্পানিতে। সোনা বাড়িতে থাকলেই লোন পাবেন সেই অ্যাডভারটাইজিং বাড়ির টেলিভিশন বা রাস্তার হোডিং-এ বারবার লেখা থাকে। বুদ্ধি করে সোনার বিনিময়ে টাকা নিয়েছে সঞ্জীব। তদন্তে জানা যায় সোনার খোঁজ শেষ হলেও লোনের টাকা মিটিয়ে বাড়িতে আসত সোনা অথবা প্লান চেঞ্জ করে বিক্রি করে সঞ্জীব পেত আরও টাকা। পরে সেই ফিনান্স কোম্পানি সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার করা হয় সোনাগুলি। সব সোনা ও অভিযুক্তের দোষ প্রমানে পরিপেক্ষিতে এখন জেল হেফাজতে সোনার দোকানের কর্মী।