রাজনৈতির মহলের একটা বড় অংশই বলছে, বিজেপি বিধায়কদের দলে নিলে প্রাক্তন তৃণমূল নেতাদেরও ফেলে রাখবেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ভোটের ফলপ্রকাশের দিনই দলবদলুদের স্বাগত জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকে তৃণমূলে ফিরতে কার্যত লাইন পড়ে গিয়েছে দলত্যাগীদের। অভিষেকের বার্তা তাঁদের স্বস্তি দিতে পারে। কিন্তু কবে হবে 'ঘর ওয়াপসি', তা এখনও স্পষ্ট নয়।
advertisement
ভোটের ফলপ্রকাশের দিনই স্পষ্ট হয়ে যায়, বিজেপিকে ধরাশায়ী করে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। আর এরপর থেকেই তৃণমূলে 'ঘর ওয়াপসি'র লাইন পড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফের পুরনো দলে ফেরার আর্জি জানান সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সোনালি গুহ, এরপর একে-একে সরলা মুর্মু, অমল আচার্য, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা-নেত্রী দলের কাছে আর্জি জানান।
তবে, সবচেয়ে বেশি সাড়া পড়ে যায় মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসপাতাল যাত্রা থেকে। মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু একাধারে যেমন অভিষেক-মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন, অপরদিকে মুকুলের তৃণমূলে ফিরে আসা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয় সর্বস্তরে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি ফোন করেন মুকুল রায়কে, খোঁজ নেন তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছু হয়নি বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। ফলে মুকুলকে ঘিরে বিজেপিতে বড় ভাঙনের আশঙ্কা এখনও বিদ্যমান গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। সেই তালিকায় এখন প্রবলভাবে উঠে এসেছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। রাজীবের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টই সেকথা স্পষ্ট করে দিচ্ছে।
যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, দলবদলুদের ফেরাতে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না তৃণমূল। শাসক দলের একাংশের মতে, ভোটের আগে দলের দুঃসময়ে ছেড়ে চলে গিয়েছেন অনেকে। এমনকী তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ দলকে ব্ল্যাকমেইলও করছিল। কিন্তু দল জিততেই এখন সুর নরম করেছে তাঁরা। তবে, তাঁদেরও বোঝানো উচিৎ, এভাবে ইচ্ছেমতো, নিজেদের স্বার্থমতো দলে আসা যায় না। তাই আপাতত ধীরে চলো নীতিতেই চলতে চাইছে শাসক দল।
----কমলিকা সেনগুপ্ত
