বুধবারই উত্তরবঙ্গ সফরের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন মমতা৷ সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘গত পরশু দিন (সোমবার) রাহুলজি আমায় ফোন করেছিলেন। আমি তাঁকে বললাম, আমাকে তো বৈঠকের বিষয়ে কেউ কিছু বলেননি আগে থেকে। আমি কিছু জানতামই না। যেহেতু আগে থেকে বিষয়টি জানতাম না তাই আমার বিভিন্ন সূচি আগে থেকেই নির্ধারিত করা ছিল।’’
advertisement
এরপরে মমতা বলেন, ‘‘অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও ব্যস্ত থাকেন। কোনও বৈঠকের বিষয়ে সাত থেকে দশ দিন আগে না জানলে তাঁদের জন্যও বৈঠকে হাজির হওয়াটা সমস্যাজনক হয়ে যায়। তবে যেদিন দিন নির্ধারিত করা হবে আমরা সেই দিন দেখা করব।’’ অর্থাৎ, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডাকা হলে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেন, সেই ইঙ্গিত দেন তৃণমূলনেত্রী।
আরও পড়ুন: ঠিক কেমন আছেন কালীঘাটের সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র? SSKM থেকে এবার রিপোর্ট গেল ED-র কাছে
বুধবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে নয়াদিল্লির বাড়িতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস৷ কিন্তু, মমতা, নীতীশ, এম কে স্ট্যালিন, অখিলেশ যাদব সহ দেশের একাধিক দলের নেতামন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদের অন্য কর্মসূচি থাকায় এই বৈঠকে যোগ দিতে তাঁরা অপারগ৷ একসঙ্গে এতগুলি দলের বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় অবশেষে তা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় কংগ্রেস৷ শুরু হয় ‘ইন্ডিয়া’র ভবিষ্যৎ নিয়ে তুমুল জল্পনা৷
সেই জল্পনার আগুনে খানিক হাওয়া লাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত সোমবারের মন্তব্যের পর৷ ওইদিন মমতা জানিয়েছিলেন, বুধবারের বৈঠকের বিষয়ে তাঁকে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি৷ শেষ মুহূর্তে বিষয়টি জানতে পারেন তিনি৷
ওইদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন, ‘‘আগামী ৬ থেকে ১১ ডিসেম্বর আমি নর্থ বেঙ্গল যাচ্ছি৷ ৬ তারিখের বৈঠকের কথা আমি জানতাম না৷ যদি জানতাম ওই দিন বৈঠক ডাকা হয়েছে, তাহলে হয়ত আমি আমার সফরের তারিখ বদল করতাম৷’’
কিন্তু, বুধবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা জানালেন, ৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ, বুধবারের বৈঠকের বিষয়ে জানাতে তাঁকে ফোন করেছিলেন স্বয়ং রাহুল গান্ধি৷ এরপরেই ‘ইন্ডিয়া’র পরবর্তী বৈঠকে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করতে শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷