রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলার’ এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এই গানের অ্যালবামের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান থেকে মুখমন্ত্রী এইদিন বলেন, “সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজ থেকে সাড়ে চার বছর আগে দলের মুখপত্র দৈনিক প্রকাশ করা হয়। আজ মহালয়ার সঙ্গেই পুজো শুরু হয়ে গেল।” এরপরেই খানিক নষ্টাালজিক হয়ে পড়েন তিনি।
advertisement
তিনি বলেন, “ছোটবেলায় পুজো চার দিন ছিল। এখন আমাদের সরকারের তৎপরতায়, পুজোর প্রসার ঘটেছে। মহালয়া থেকেই মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে ঠাকুর দেখতে।”
বিভিন্ন পুজোক্লাবগুলিকে যে সাহায্য করা হচ্ছে তাও জানান তিনি। তিনি বলেন, “ক্লাবগুলোকে আর্থিক সাহায্য করছে রাজ্য সরকার।
মায়ের কাছে প্রার্থনা অশুভ শক্তির বিনাশ হোক। জয় হোক বাঙালির, জয় হোক বাংলার। যারা বাংলাকে কলুষিত করে বলে গিয়েছিল বাংলায় দুর্গা পুজো হয় না। তখন তিন বছর আগে UNESCO স্বীকৃতি দেয়।”
শুধু আর্থিক সাহায্যই নয়, বাংলার পুজোর ক্ষেত্রে এখন অধিকাংশই বিনামূল্যে করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এবার সবটাই ফ্রিতে। শুধু ক্লাবগুলোকে আর্থিক সাহায্য নয়। যে সব শিল্পী এসেছেন তারা বাংলার গর্ব। গানের অ্যালবামের প্রতিটা কথা শুনুন।”
নিজের গানের কথা ও সুর দিলেও, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে গলা মেলানোর আগেও তিনি বলেন, “আমি শিল্পী নই। আমার গলা খারাপ। আমাকে ইন্দ্রনীল সব প্রোগ্রামে ডিস্টার্ব করে। ওরা রেওয়াজ করে আসে। আমার গলা ফুলেছে। গতকাল বৃষ্টিতে ভিজে।”
কিন্তু, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন-সহ সভায় উপস্থিত উৎসাহীদের অনুরোধ ফেলতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। ‘জাগো দুর্গা’ গানটি ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে গলা মিলিয়েই গান তিনি।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় স্তরে আরও বড় দায়িত্বের ইঙ্গিত,বঙ্গ বিজেপির জনসংযোগ নিয়ে বড় বার্তা দিলীপের
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা মোট ১৭টি গান প্রকাশ পেল। বাংলা ভাষা ও বাঙালি অস্মিতাকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে বেশ কিছু গান। এর মধ্যে একটি নতুন গানেই মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন— “ওঠো বজ্র কণ্ঠে, গাও বাংলার গান, এসো রক্ষা করো ভাষার সম্মান।” গানটি কণ্ঠ দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।
এই বছর ৩ হাজারের বেশি পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বহু আবেদন থাকলেও সময়াভাবে মুখ্যমন্ত্রী কয়েক হাজার পুজোর উদ্বোধন করতে পারেননি। তাঁর লেখা ও সুরে দু’টি সিডি প্রকাশিত হবে আজ। অ্যালবামে গান গেয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন, নচিকেতা, রাঘব, শ্রীরাধা, তৃষা প্রমুখ।
